মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা মাফিক এদিন প্রাথমিকে ১৬,৫০০ জন শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দিল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। আজ থেকেই শুরু হবে অনলাইনে আবেদন প্রক্রিয়া। মোট শূন্যপদ ১৬,৫০০টি। রিজার্ভ ক্যাটাগরির প্রার্থীরা সরকারি হিসাব মতন সব সুবিধা পাবেন। মোট শূন্যপদের ১০ শতাংশ পার্শ্ব শিক্ষকদের জন্য সংরক্ষিত।
উল্লেখ্য, বিধানসভা নির্বাচনের ঠিক আগে প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। ১৬ হাজার ৫০০ পদে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ করা বলে হবে আশ্বাস দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। ১০ জানুয়ারি থেকে আবেদন করা যাবে। আবেদন জমা নেওয়া হবে ১৭ জানুয়ারি পর্যন্ত। দ্রুত নিয়োগের প্যানেল তৈরি করা হবে বলেও আশ্বাস দেন মুখ্যমন্ত্রী। একই সঙ্গে তিনি জানান, "৩১ জানুয়ারি তৃতীয় টেট পরীক্ষা অফলাইনে হবে। এই পরীক্ষায় আড়াই লক্ষ পরীক্ষার্থী রয়েছেন"।
অনেক বিতর্কের পরে প্রাথমিকের টেট কবে নেওয়া হবে সেই বিষয় দিনক্ষণ ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামী ৩১ শে জানুয়ারি অফলাইনে পরীক্ষা নেওয়া হবে। মঙ্গলবার ক্যাবিনেট বৈঠক শেষে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন " আগামী ৩১ জানুয়ারি তৃতীয়বারের টেট নেওয়া হবে। টিচার এলিজিবিলিটি টেস্ট নেওয়া হবে অফলাইনে। এর আবেদন আড়াই লক্ষ জমা পড়েছে।" তবে শুধু প্রাথমিকের টেট এর দিন ঘোষণা নয়, এদিন ইতিমধ্যেই টেট উত্তীর্ণদের কবে থেকে নিয়োগ হবে সে বিষয়ে বিস্তারিত ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন "আগামিকাল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ বিজ্ঞপ্তি জারি করবে নিয়োগের। ১০ থেকে ১৭ জানুয়ারি ইন্টারভিউ হবে।"
২০১৪ সালে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ টেট নেওয়ার বিজ্ঞাপন দেয়। সেই বিজ্ঞাপন মেনে ২০১৫ সালে নেওয়া হয় টেট এবং ২০১৬ সালে সেই টেট পরীক্ষার ফল প্রকাশ করে পর্ষদ। সেই টেট এর ফল প্রকাশের পরেও অনেক টেট প্রার্থীরাই বসে ছিলেন। এই টেট উত্তীর্ণদের মধ্যে থেকেই ১৬৫০০ শূন্য পদ পূরণ করা হবে। গত সেপ্টেম্বর মাসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘোষণা করেছিলেন এই শূন্যপদ দ্রুত পূরণ করা হবে। সেই মোতাবেক প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ ফের আবেদনপত্র নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করে। সূত্রের খবর মোট ৩১ হাজার আবেদনপত্র জমা পড়েছে। টেট উর্ত্তীন এবং প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত অর্থাৎ বিএড এবং ডিএলএড দুই প্রশিক্ষণই রয়েছে এমন প্রার্থী প্রায় ৩১ হাজার আবেদন জমা পড়েছে। তাদের ইন্টারভিউ প্রক্রিয়া শুরু হবে ১০ জানুয়ারি থেকে। জানা গিয়েছে আগামী কালই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে জানিয়ে দেওয়া হবে কারা কারা ইন্টারভিউয়ের জন্য ডাক পেতে চলেছেন।
অপরদিকে ২০১৭ সালে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ নতুন করে টিচার এলিজিবিলিটি টেস্ট নেওয়ার জন্য প্রক্রিয়া শুরু করে। ওই পরীক্ষা কবে হবে তা নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারছিল না স্কুল শিক্ষা দফতর। গত সেপ্টেম্বর মাসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেন প্রাথমিক টেট নেওয়ার ব্যাপারে প্রস্তুতি নিচ্ছে রাজ্য স্কুল শিক্ষা দফতর। সেই মোতাবেক মঙ্গলবার সাংবাদিক সম্মেলন করে মুখ্যমন্ত্রী প্রাথমিকের তৃতীয়বারের জন্য টিচার এলিজিবিলিটি টেস্ট নেওয়ার দিন ঘোষণা করলেন।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন