গত কয়েকদিনে টানাপোড়েন হয়েছে অনেক। কখনও তমলুকের বাড়িতে ছুটেছিলেন প্রশান্ত কিশোর। কখনও কলকাতায় তৃণমূলের সঙ্গে বৈঠক, শুভেন্দুর কনভয়ের পিছনে ছুটেছে সংবাদমাধ্যমের গাড়ি। দোলাচল ছিলই। কয়েক দশকের সৈনিকের পক্ষে শিবির বদলের সিদ্ধান্ত অবশ্যই কঠিন ছিল। তাই শেষ রক্ষা হল না শাসক শিবিরের। এদিন অমিত শাহের মঞ্চে হাজির হলেন শুভেন্দু। শনিবার বোধহয় বাংলার রাজনীতি এক নয়া মোড় নিল। এদিনের মঞ্চে অমিত শাহের পাশে শুভেন্দুকে হাত ধরে নিয়ে এলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। অমিত শাহের পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করলেন শুভেন্দু। হাত উঁচু করে বার্তা দিলেন বাংলাকে। এদিন মঞ্চে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে 'বড়ভাই' বলে সম্বোধন শুভেন্দু।
রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে একের পর এক অনিয়মের অভিযোগ এনেছেন পরীক্ষার্থীরা। আর এই সমস্ত অনিয়মের কারণে আদালতে দায়ের হয়েছে মামলা। প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের টেট কেলেঙ্কারি নিয়ে বিতর্ক কম হয় নি রাজ্যে। আর এই নিয়ে বিতর্কের সঙ্গে উঠে এসেছে বেশকিছু নাম। বিরোধীরা তো বটেই, তৃণমূলের অন্দরেও তাঁকে নিয়ে বিতর্ক কম হয় নি। এক সময় পরীক্ষার্থীরা বলতেন, প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের টেট পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হলে বিশ্বজিৎ কুণ্ডুর ঘনিষ্ঠ হতে হবে। সেই বিশ্বজিৎ কুণ্ডু আজ অমিত শাহের উপস্থিতিতে যোগ দিলেন বিজেপিতে। পশ্চিমবঙ্গে বদল আনার স্লোগান তুলে দুর্নীতিমুক্ত সরকার গঠনের ডাক দিয়েছে বিজেপি। কিন্তু দুর্নীতি পরায়ণ নেতাদের দলে নিয়ে কি দুর্নীতি মুক্ত সরকার গঠন করতে পার বিজেপি? প্রশ্ন এক হবু শিক্ষকের।
এই প্রসঙ্গে সিপিআই(এম) নেতা সুজন চক্রবর্তী তাঁর ফেসবুক পেজে লেখেন, "বিষয়টি কেমন হাস্যকর, যে সভা থেকে শুভেন্দু অধিকারী টেট দুর্নীতির কথা বলছেন, আর সেই সভাতেই মঞ্চ আলো করে বসে আছেন একজন বিধায়ক, যার পরিবারের ৮জন নাকি একসঙ্গে টেট পরীক্ষায় পাশ করেছেন। এই দুর্নীতিগ্রস্থদের সঙ্গে নিয়ে দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়বে বিজেপি?"
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন