উচ্চ প্রাথমিকে শিক্ষক পদে দ্রুত নিয়োগের দাবিতে রাতভর অবস্থান চাকরিপ্রার্থীদের। বিধাননগরে স্কুল সার্ভিস কমিশনের প্রধান দফতর আচার্য সদনের সামনে সারারাত ধরে চলে অবস্থান-বিক্ষোভ। চাকরিপ্রার্থীরা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, দাবি না মিটলে চলবে অবস্থান। প্রয়োজনে পড়লে অনশনের রাস্তাতেও হাঁটতে প্রস্তুত তাঁরা।
নিয়োগ প্রক্রিয়া আদালতের বিচারাধীন বিষয়। এই প্রক্রিয়া রাজ্যের হাতে নেই। গোটা বিষয় আদালতের বিচারাধীন।
উচ্চ প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে আইনি জটিলতা কাটিয়ে দ্রুত নিয়োগ করতে হবে। এই দাবিতে মঙ্গলবার স্কুল সার্ভিস কমিশনের কেন্দ্রীয় অফিসের সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শনে বসেন কয়েক হাজার চাকরিপ্রার্থী। প্রথমে করুণাময়ী মোড়েই তাঁদের বাধা দেওয়ার চেষ্টা করে পুলিশ। বাধা মানেনি প্রার্থীরা। ফলে শতাধিক বিক্ষোভকারীকে গ্রেফতার করা হয়। এরই মধ্যে বহু প্রার্থী পুলিশের নজর এড়িয়ে আচার্য সদনের সামনে গিয়ে জমায়েত করেন। ব্যানার, প্ল্যাকার্ড নিয়ে বসে পড়েন। তাঁদের ওঠানো নিয়ে চলে একপ্রস্থ নাটক। তবে, রাত পর্যন্ত তাঁদের ওঠাতে পারেনি পুলিশ।
চাকরিপ্রার্থীদের দাবি, সাত বছরেরও বেশি সময় ধরে এই নিয়োগ বন্ধ। প্যানেল প্রকাশের পরেও কেটে গিয়েছে বহু সময়। তাই এবার ধৈর্য হারিয়ে ফেলছেন তাঁরা। যদিও, এক শিক্ষা আধিকারিক বলেন, নিয়োগ নিয়ে মামলা চলছে। তা করেছেন চাকরিপ্রার্থীদেরই একাংশ।
প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা হলেও নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে গেজেট না মানার অভিযোগ ও টেট ওয়েটেজ সহ একাধিক বিষয় নিয়ে অনিয়মের অভিযোগ আনেন পরীক্ষার্থীদের বড় অংশ। একি সাথে অনিয়ম করে প্রশিক্ষিত নয় এমন প্রার্থীকেও নিয়োগ করা হয়েছে বলেও অভিযোগ ওঠে।
এই সমস্ত অভিযোগের ভিত্তিতে আদালতে দায়ের হয় মামলা। ২০১৪ সালে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হয়। সেই অনুসারে ২০১৫ সালে পরীক্ষাও নেওয়া হয়েছিল। পরের বছর প্রকাশিত হয়েছিল সেই পরীক্ষার ফল। অনেক বিতর্কের পরে ২০১৯ সালে ভেরিফিকেশন ও ইন্টারভিউ প্রক্রিয়াও সম্পূর্ণ করা হয়। তবে সেখান থেকেই সমস্যা তৈরি হয় বলে মনে করেন হবু শিক্ষকদের একটা বড় অংশ। এই মামলার পরিপ্রেক্ষিতেই উচ্চ প্রাথমিকের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় স্থগিতাদেশ জারি করে কলকাতা হাইকোর্ট।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন