শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে বিতর্কের শেষ নেই। বহু বার অনিয়মের অভিযোগ এনেছেন চাকরি-প্রার্থীদের বড় অংশ। অনিয়মের অভিযোগে দায়ের হয়েছে মামলা। মামলার কারণে এখনও উচ্চ প্রাথমিকের নিয়োগের কাজ শেষ করতে পারেনি সরকার। আর নিয়োগ নিয়ে সরকারের এই অনীহার কারণে বেকার চাকরি-প্রার্থীদের মধ্যে ক্ষোভ দানা বেঁধেছে, তা বুঝে গিয়েছে রাজ্যের প্রধান শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। এমন সময় শিক্ষক নিয়োগ ফের একবার উদ্যোগ নিল সরকার। সামনেই নির্বাচন আর সেই কারণে এমন উদ্যোগ।
এর আগে প্রাথমিকের টেট-২০১৭ পরীক্ষা নেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন ৩১ জানুয়ারি প্রাথমিকের টেট পরীক্ষা নেওয়া হবে। আজ সেই মর্মে পরীক্ষা নেওয়ার বিজ্ঞপ্তি জারি করল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। তবে নতুন করে আর কেউ এই পরীক্ষাতে বসার জন্য আবেদন করতে পারবেন ন। যাঁরা ইতিমধ্যে আবেদন করেছিলেন, কেবল তাঁরাই আবেদন করতে পারবেন।
জানা গিয়েছে, শূন্যপদ ১৬, ৫০০। পরীক্ষা দেবেন আড়াই লক্ষেরও বেশি। টেট উত্তীর্ণদের ক্ষেত্রে ইন্টারভিউ হবে আগামী জানুয়ারি মাসের ১০ থেকে ১৭ তারিখ পর্যন্ত। করোনা পরিস্থিতির কারণে বিগত বেশ কিছুদিন ধরে সমস্ত পরীক্ষা অনলাইনে হলেও, ৩১ জানুয়ারি টেট হবে অফলাইনে। অর্থাৎ পূর্বের মতোই পরীক্ষা কেন্দ্রে গিয়ে পরীক্ষা দিতে হবে। সেক্ষেত্রে সংক্রমণের ঝুঁকি থেকেই যাচ্ছে। সূত্রের খবর, পরীক্ষার্থীদের স্বার্থে সচেতনতামূলক সমস্তরকম ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
শিক্ষক নিয়োগের এই বিজ্ঞপ্তি ঘিরেই পায়েল বাগ নামে একজন চাকরি প্রার্থী মামলা দায়ের করেন কলকাতা হাই কোর্টে। মামলাকারীর সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও ২০১৪ সালের প্রাইমারি টেট পাশ অনলাইন ভেরিফিকেশন প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করতে না পেরেই দারস্থ হন আদালতে। মলাকারীর অভিযোগ খতিয়ে দেখে কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি রাজার্ষি ভরদ্বাজের একক বেঞ্চ প্রাইমারি পর্ষদের কাজে বিজ্ঞপ্তি নিয়ে তলব করেন। এবং গত ২৭ই নভেম্বর কলকাতা হাই কোর্ট মামলার কারীর অভিযোগকে মান্যতা দিয়ে মামলাকারীকে অফলাইনে ভেরিফিকেশনের জন্য নির্দেশ দেন। সেই মামলার শুনানির হতে চলেছে আগামীকাল।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন