শিক্ষক নিয়োগের দাবি অনেক দিনের। সামনেই বিধানসভা নির্বাচন। আর এই নির্বাচনের আগে নিয়োগ নিয়ে বেশকিছু পদক্ষেপ নিয়েছে রাজ্য সরকার।
এদিন শিক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন, আগামী ৩ ফেব্রুয়ারির মধ্যে রাজ্যের স্কুলগুলিতে সাঁওতালি ভাষার (অলচিকি হরফ) ৪৭৫ জন শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করা হবে। ৩১ জানুয়ারির টেট (TET) নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী জানান, ১৬,৫০০ শূন্যপদে নিয়োগের জন্য ওই দিন রাজ্যের ২২টি কেন্দ্রে নেওয়া হবে অফলাইন পরীক্ষা। অর্থাৎ পরীক্ষাকেন্দ্রে গিয়ে পরীক্ষায় বসতে হবে আবেদনকারীদের। পরীক্ষা চলবে দুপুর ১ টা থেকে সাড়ে তিনটে পর্যন্ত। এদিনের পরীক্ষায় বসতে চলেছেন আড়াই লক্ষ আবেদনকারী।
অপরদিকে, করোনার কারণে প্রায় ৯ মাসের কাছাকাছি সময় বন্ধ আছে দেশের রাজ্যের প্রায় সমস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। কবে থেকে ফের খুলবে স্কুল-কলেজ তা নিয়ে বেশ চিন্তিত ছাত্র-ছাত্রীরা।
যদিও রাজ্যের স্কুল-কলেজ খোলার ব্যাপারে এখনও কোনও সিদ্ধান্তে আসতে পারেনি শিক্ষা দফতর। রবিবার তৃণমূল ভবনে এই সংক্রান্ত এক প্রশ্নের উত্তরে এমনটাই
জানিয়েছেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এই প্রসঙ্গে এ দিন তিনি বলেন, "রাজ্যের সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর স্যানিটাইজেশনের কাজ চলছে। স্কুল বন্ধ থাকলেও, আমরা পঠনপাঠন বন্ধ করিনি। অনলাইন ক্লাস, ফোন, টিভি মারফত পঠনপাঠন চলছে। পরীক্ষাও নেওয়া হচ্ছে। তার পর সব দিক বিবেচনা করে রাজ্য সরকারের সঙ্গে কথা বলেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে।" শিক্ষামন্ত্রীর কথায়, "স্কুল কলেজ শুধু খুললেই হবে না। পড়ুয়ারা যাতে আক্রান্ত না হয়, সে ব্যাপারেও খেয়াল রাখতে হবে। ইতিমধ্যেই অনেক রাজ্যে স্কুল খোলা হয়েছিল। কিন্তু সংক্রমণ ছড়ানোয় ফের তা বন্ধ করে দিতে হয়েছে।"
স্কুল-কলেজ খোলার ক্ষেত্রে সংক্রমণই যে এখন শিক্ষা দফতরের বড় মাথাব্যথা তা বুঝিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেছেন, "শিক্ষার সঙ্গে স্বাস্থ্যের দিকটাও আমাদের দেখতে হবে। কিন্তু আমাদের গুরুত্ব দিয়ে পঠনপাঠন চালাতে হবে। তাই আমরা প্রযুক্তির দিকে বিশেষ নজর দিয়েছি।"
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন