এর আগেও রাজ্যে নিয়োগ নিয়ে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। আদালতে দায়ের হয়েছে একাধিক মামলা। এবার ফের একবার টেট নিয়ে গুরুতর অভিযোগ করলেন তৃণমূলের প্রাক্তন নেতা। এবার সরাসরি দুর্নীতির অভিযোগ তুললেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। এই মুহূর্তে টেটের নিয়োগ প্রক্রিয়া চলছে।
তাঁর কথায়, "২০১১ সালে পশ্চিমবঙ্গে নথিভুক্ত বেকারের সংখ্যা ছিল এক কোটি ২০ লক্ষ। বর্তমানে দুই কোটি বেকার তৈরি হয়েছে রাজ্যে। ২০১৪ সালের পর স্কুল সার্ভিস কমিশনের পরীক্ষা হল না, শিক্ষক–শিক্ষিকা নিয়োগ হল না।" এরপরই গুরুতর অভিযোগ করেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, "গত দু-দিন আগে রাতের অন্ধকারে ১৬ হাজার ৭০০ জনকে মোবাইলে মেসেজ করে টেটে নিয়োগপত্র দেওয়া হল। কাটমানির বিনিময়ে নেতাদের আত্মীয়স্বজনকে দেওয়া হয়েছে এই চাকরি।"
প্রসঙ্গত, প্রাথমিকের ১৬,৫০০ জনের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় কোনও স্টে পড়ল না। এদিনের আদালতের এই নির্দেশের পরে নিয়োগ-প্রক্রিয়া চালায়ে যেতে আর কোনও বাধা থাকল না। যেভাবে কাউন্সেলিং প্রক্রিয়া চলছে সেই ভাবেই এই প্রক্রিয়া চলবে। তবে এই ক্ষেত্রে মাননীয় বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজ গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি আজ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে আগামী ১৪ দিনের মধ্যে পর্ষদকে মেধাতালিকা PDF ফাইলে কোর্টে জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছেন। তারপর আবার শুনানি হবে। আজকের এই অন্তর্বর্তী রায়ে যথেষ্ট স্বস্তি পেলেন মেধাতালিকা ভুক্ত চাকরি প্রার্থীরা। আশা করা যায় পরবর্তী শুনানির আগেই নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে ফেলবে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ।
উল্লেখ্য, শিক্ষক নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ। ১৬,৫০০ জন প্রাথমিক শিক্ষক পদে নিয়োগ প্রক্রিয়া প্রশ্নের মুখে। এই অনিয়মের অভিযোগে কলকাতা হাইকোর্টে দায়ের হল একাধিক মামলা। রাজ্যের ১৬,৫০০ জন শিক্ষক পদে নিয়োগ প্রক্রিয়া ফের প্রশ্নের মুখে, কলকাতা হাইকোর্টে দায়ের হল একাধিক মামলা। নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অস্বচ্ছতার অভিযোগ এবং নিয়ম না-মানার অভিযোগে কলকাতা হাইকোর্টে দায়ের হল মামলা।কয়েকশো চাকরি-প্রার্থী মামলা করেছেন বিচারপতিরা রাজর্ষি ভরদ্বাজের এজলাসে। অভিযোগ, মেধা তালিকা প্রকাশ না করেই নিয়োগ করার প্রক্রিয়া কি সম্ভব? সরস্বতী পূজা উপলক্ষে দুটি ছুটির দিনে প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ সাতটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যে নিয়োগের এক একটি ধাপ শেষ করে ফেলেছেন নিয়োগকর্তারা। এমন বহু নমুনা আছে যেখানে নিয়োগে অস্বচ্ছতার উদাহরণ রয়েছে বলে দাবি আইনজীবীদের। যদিও আজকের আদালতের নির্দেশের পরে স্বস্তিতে চাকরি প্রার্থীরা।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন