শিক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন, আগামী ১২ থেকে স্কুল খোলার চিন্তাভাবনা নিয়ে এগোচ্ছে সরকার। আপাতত নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির ক্লাস শুরু করা হবে। শিক্ষামন্ত্রীর এই ঘোষণার পরেই শুরু হয়েছে তার প্রস্তুতিও। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার কারণে ধুলো-ময়লা তো জমেছেই। সঙ্গে মাথায় রাখতে হচ্ছে কোভিড বিধিও।
করোনা আবহে স্কুল খোলা নিয়ে নানা মত রয়েছে বিভিন্ন রাজ্যের। এ রাজ্যে ইতিমধ্যেই স্কুলশিক্ষা দফতর নির্দেশিকা জারি করে জানিয়েছে, বাড়ি থেকে স্কুল, স্কুল থেকে বাড়ি। যাতায়াতের সময় রাস্তার ভিড়ে শারীরিক দূরত্ব-বিধি বজায় রাখতে পড়ুয়াদের ছাতা ব্যবহার করতে হবে। বলা হয়েছে ছাতা ব্যবহার করলে, আশপাশে কেউ ঘেঁষতে পারবেন না। ১১ মাস বাদে আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি স্কুল খোলার আগে এমনই একগুচ্ছ গাইডলাইন প্রকাশ করেছে পশ্চিমবঙ্গ স্কুলশিক্ষা দফতর। ৫২ পাতার বিস্তারিত গাইডলাইন প্রকাশ করা হয়। চাইলে রাজ্যের বেসরকারি স্কুলগুলিও তা অনুসরণ করতে পারে বলে শিক্ষা দফতর সূত্রে খবর। বিস্তারিত ওই গাইডলাইনে নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রছাত্রীদের পাশাপাশি শিক্ষক, প্রধান শিক্ষক, অভিভাবক, স্থানীয় প্রশাসন ও শিক্ষা প্রশাসকদের কাকে কী দায়িত্ব পালন করতে হবে, তা-ও বলা হয়েছে।
স্কুল খোলার প্রস্তুতির জন্য শিক্ষকদের তার আগেই স্কুলে যাতায়াত শুরু করতে বলা হয়েছে। স্কুলের সমস্ত বিষয় দেখভাল, স্যানিটাইজ করা, স্বাস্থ্য বিধি অনুসরণ করা, পরিচ্ছন্নতার বিষয়ে কড়া নজর রাখার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে প্রধান শিক্ষক ও ভারপ্রাপ্ত প্রধানদের। সে ক্ষেত্রে কোনও অনিয়ম বা অবহেলা হলে প্রয়োজনে তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণও করা হবে বলে জানানো হয়েছে। স্কুল খোলার আগে জেলাশাসক ও বিডিওদের সংশ্লিষ্ট স্কুলের শিক্ষক, প্রধান শিক্ষক, পরিচালন সমিতিগুলির সঙ্গে বৈঠক করে স্বাস্থ্যবিধি মানার যাবতীয় খুঁটিনাটি বুঝিয়ে দিতে বলা হয়েছে। তবে নির্দেশিকাগুলিতে বলা নেই যে কতজন পড়ুয়াকে সর্বাধিক এক সঙ্গে স্কুলে আনা যাবে। যা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে শিক্ষা শিবিরে।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন