বন সহায়ক পদে নিয়োগ মামলায় চরম অস্বস্তিতে রাজ্য সরকার। দলীয় কর্মীসভা থেকে সদ্য দলত্যাগীদের কড়া বার্তা দিয়েছেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে নাম না করে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করেছেন তিনি।
পরে রাজীব বলেন,'আলিপুরদুয়ারের সভা থেকে তিনি নাম না করে বলেছেন, বন সহায়কের চাকরিতে কারসাজি হয়েছে। উনি তদন্ত করবেন। উনি নাম নেননি, আমি নাম নিয়ে বলছি, জেনে রাখুন এই বন সহায়কের নিয়োগ নিরপেক্ষভাবে বোর্ডের হাতে তুলে দিয়েছিলাম। গত বছর ৮ অক্টোবর সকাল ১০টার সময় আপনাকে মেসেজ বলেছিলাম বীরভূমের বড় নেতা আমায় বলছে, বন সহায়কের সব পদ তাঁকে দিতে হবে। আপনি আমায় পাল্টা ফোন করে বলেছিলেন, সব জেলায় জেলায় তৃণমূলের নেতাকর্মীদের কিছু কিছু করে কোটা তুমি দিয়ে দাও। এতদিন মুখ খুলিনি। আজকে আপনার কথার পরিপ্রেক্ষিতে মুখ খুলতে বাধ্য হলাম। ৮ অক্টোবর সকাল ৯টা ৫৮ মিনিটে আপনার সঙ্গে আমার কথা হয়েছিল।'
মুখ্যমন্ত্রী ও প্রাক্তন বনমন্ত্রী যখন এভাবে খোলা মঞ্চে নিয়োগ প্রক্রিয়াকে বেআব্রু করে দিয়েছেন, তখন অনিয়ম নিয়ে সন্দেহ থেকেই যায়। আর এর পরেই চাকরি প্রার্থীরা স্যাটে মামলা দায়ের করেন। কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করা হয়। এই ব্যাপারে রাজ্য সরকারের কাছে হলফনামা চেয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। কি পদ্ধতিতে নিয়োগ করা হয়েছে, মেধাতালিকার কি ব্যবস্থা ইত্যাদি বিস্তারিত জানতে চাওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের অগস্ট মাসে অষ্টম শ্রেণি উত্তীর্ণদের বন-সহায়ক পদে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল রাজ্য সরকার। যেখানে শূন্যপদ ছিল প্রায় দু-হাজার। মাত্র দু-হাজার পদের জন্য দু-লক্ষের বেশি আবেদন জমা পড়েছিল। কিন্তু প্যানেল প্রকাশ হয়নি। গত কয়েকদিনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বনাম প্রাক্তন বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের মৌখিক তরজার ফলেই জানা যায়, বন-সহায়ক পদে নিয়োগ হয়ে গিয়েছে।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন