উত্তরাখণ্ডে ভয়াবহ তুষারধস; কমপক্ষে ১৫০ জনের ভেসে যাওয়ার আশঙ্কা

 

প্রায় ৮ বছর আগের কেদারনাথের ভয়াবহ স্মৃতি যেন ফের ফিরে এল। গতকাল রাত ১০ টা ৫৫ মিনিটে জোশীমঠে নন্দাদেবী হিমবাহের একটি অংশ ভেঙে যাওয়ার খবর আসে। খবর পাওয়ার পরই  ঘটনাস্থলে পরিদর্শনে পুলিশ পৌঁছয়। রাতেই জারি করা হয়েছিল। কিন্তু সকালে সেই ধস আরও ভয়াবহ আকার নেয়।

Loading...

হিমবাহ ভেঙে পড়ার পর প্রবল তোড়ে জল নেমে আসতে শুরু করেছে। ধসের কারণে ভাঙন ধরেছে ধৌলিগঙ্গার বাঁধে। নদীর ধারে থাকা বহু ঘরবাড়ি ভেসে যাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। ঋষিকেশ ও হরিদ্বারে জারি হয়েছে বন্যা সতর্কতা। ঘটনাস্থলে পৌঁছে গিয়েছে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর উদ্ধারকারী দল। বেশ কয়েকদিন ধরেই চলছিল বৃষ্টিপাত সঙ্গে তুষারপাত।  তার জেরেই এই ঘটনা বলে মনে করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই ১০০ থেকে ১৫০ জনের মৃত্যুর আশঙ্কা করছে প্রশাসন। ঋষিগঙ্গা পাওয়ার গ্রিড প্রকল্পে ঘটনার সময় ১৫০ শ্রমিক কাজ করছিলেন। তাঁরা নিখোঁজ।রাহুল গান্ধী টুইট করে বলেন, 'চামোলিতে হিমবাহ ভেঙে যাওয়ার কারণে বন্যার সম্ভাবনা অত্যন্ত মর্মান্তিক। আমার সমবেদনা উত্তরাখণ্ডের জনগণের সঙ্গে রয়েছে। রাজ্য সরকারের উচিত সমস্ত ক্ষতিগ্রস্তকে তাৎক্ষণিক সহায়তা প্রদান করা। কংগ্রেসের সহকর্মীরাও ত্রাণের কাজে হাত দিয়েছেন'। 

Loading...