এদিন রঘুনাথপুরে নির্বাচনী জনসভা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, 'বিজেপি বাংলা সহ সারা দেশে অনেক সরকারি সংস্থা বিক্রি করে দিচ্ছে। সেই সব টাকা তারা নিজেদের পকেটে ভরছে। নির্বাচনের সময় ৫০০ টাকা করে দিয়ে ভোট কেনার চেষ্টা করে। আগে ১৫ লক্ষ টাকা করে সবার অ্যাকাউন্টে দেবে বলেছিল, দেয়নি। সেই টাকা কোথায় গেল তা বিজেপিকে জবাব দিতে হবে। এই টাকা জনগণের টাকা। টাকা দিতে এলে নিয়ে নেবেন, কিন্তু ভোট দেবেন না।
অপরদিকে, এবারের নির্বাচনে কঠিন চ্যালেঞ্জের সামনে দাঁড়িয়ে তৃণমূল। একাধিক তৃণমূল নেতা নাম লিখিয়েছেন বিজেপিতে। আর এমন সময় হতে চলেছে বঙ্গের বিধানসভা নির্বাচন।
জঙ্গলমহলে বিনিয়োগ হচ্ছে ৭২ হাজার কোটি টাকা। লাখ লাখ যুবক, যুবতী আগামী দিনে কর্মসংস্থান পাবেন। পুরুলিয়ায় পাড়ার জনসভা থেকে এমন বার্তা দিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন পুরুলিয়ার পাড়ায় ফের একবার বিজেপির বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন মমতা। তিনি জানান, 'ওরা আমার মাথায় মেরেছে, হাতে মেরেছে, পাটা বাকি ছিল, সেখানেও মেরেছে। ওরা জানে না , আমি ভাঙব, কিন্তু মচকাবো না। মা বোনেদের দুটো পা দিয়ে আমি চলব।'
জঙ্গলমহলকে বিশেষ নজরে দেখছে তৃণমূল ও বিজেপির নেতারা। এবারের লোকসভা নির্বাচনে জঙ্গলমহলে আশ্চর্য উত্থান হয়েছিল বিজেপির। সেই জয়ের ধারা অব্যহত রাখতে ময়দানে নেমেছেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী। জঙ্গলমহলে সভাও করেছিলেন তিনি। এদিনের সভা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তীব্র আক্রমণ করেছিলেন তিনি। কিন্তু জঙ্গলমহলের গিয়ে বিজেপি-র বিরুদ্ধে আক্রমণে সুর চড়ালেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্যের সিংহভাগজুড়ে ছিল জঙ্গলমহলের উন্নয়নের প্রসঙ্গ।
এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'জঙ্গলমহলে বিনিয়োগ হতে চলেছে ৭২ হাজার কোটি টাকা। কাজ পাবে লাখ লাখ ছেলে-মেয়ে। পারা, রঘুনাথপুরজুড়ে শিল্পনগরীতে বিনিয়োগ হবে ২৫ হাজার কোটি টাকা।' পুরুলিয়ার ৫০ শতাংশ মানুষের কাছে পরিশ্রুত জল পৌঁছে দেওয়া হবে।' তিনি আরও জানান, 'পুরুলিয়ায় অনেক শুকনো জমি রয়েছে, যেখানে চাষ হয়না। এই জমিগুলিতে ৫৮ হাজার কোটি টাকা খরচ করে জল স্বপ্ন প্রকল্প তৈরি করছি।
অন্যদিকে, এদিন শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে বড় ঘোষণা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, 'আমরা ডবল টিচার নিয়োগ করব। যাতে আরও বেশি শিক্ষক নিয়োগ হয়।'
তিনি আরও বলেন, '৫০ শতাংশ বেকারি কমিয়েছি। আরও ৫০ শতাংশ কমাব। দারিদ্র কমিয়েছি। ৫ শতাংশে নামিয়ে আনব। স্বাস্থ্যসাথী অবশ্যই করাবেন। বছরে চিকিতসার জন্য ৫ লক্ষ টাকা পাবেন। বাবা-মায়েরও চিকিতসা করাতে পারবেন।'

0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন