করোনা সংক্রমণ বাড়ছে লাফিয়ে লাফিয়ে। লাগামহীন সংক্রমণ রুখতে হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসকরা। করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ নিমেষে কেড়ে নিচ্ছে প্রাণ। চারিদিকে বেড না পাওয়ার হাহাকার, অক্সিজেন না পেয়ে অসুস্থতা বাড়ছে মানুষের। রাজ্যের বুলেটিন দেখলে চোখ কপালে উঠছে প্রতিদিন।
করোনার সংক্রমণ বাড়ার পাশাপাশি জোরালো হচ্ছে মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়ার দাবি। মে থেকে শুরু হতে চলা দশম শ্রেণির পরীক্ষা ইতিমধ্যেই বাতিল ঘোষণা করেছে সিবিএসই এবং সিআইএসসিই-র মতো সংস্থা। তাই সোশ্যাল মিডিয়ায় মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিক বাতিলের দাবিতে সোচ্চার হয়েছে পরীক্ষার্থীদের একাংশ। সোশ্যাল মিডিয়ায় রীতিমতো গ্রুপ তৈরি করে ফেলেছে তারা। শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ট্যুইটার হ্যান্ডল বা ফেসবুক প্রোফাইলে গিয়ে পরীক্ষা বাতিলের দাবি তুলছে তারা।
পার্থ চট্টোপাধ্যায় কোনও টুইট করতে না করতেই পরীক্ষার্থীরা কার্যত ঝাঁপিয়ে পড়ছে সেখানে। মাধ্যমিক-উচ্চমাধ্যমিক বাতিলের দাবিতে বিভিন্ন বয়ানে কাতর আবেদন রাখছে তারা। কেউ বলছে, পরীক্ষা দিতে গেলেই করোনায় তার মৃত্যু হবে। কেউ আবার বলছে, আমি বাড়ির একমাত্র সন্তান। মা-বাবা আমাকে নিয়ো খুব ভয় পাচ্ছে। কারণ ১৮ বছর না-হওয়ার কারণে আমরা পরীক্ষার্থীরা কেউ টিকা পাইনি। শুরু করা হয়েছে বিভিন্ন হ্যাশট্যাগ ক্যাম্পেইনও। যদিও জুনে পরিস্থিতি কেমন থাকবে, তা এখনই বলা যাচ্ছে না। সম্ভবত সে কারণেই পরীক্ষা বাতিলের মতো বড় সিদ্ধান্ত এখনই ঘোষণা করেনি রাজ্য সরকার।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন