দেশে আছড়ে পড়েছে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ। সর্বকালের সব রেকর্ড ভেঙে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যায় নতুন নজির গড়ল ভারত। প্রথমবার একদিনে দেশে করোনার কবলে পড়লেন ২ লক্ষ মানুষ। শুধু ভারতে নয়, এটা গোটা বিশ্বের নিরিখেই রেকর্ড। আক্রান্তের এই রেকর্ড বৃদ্ধির জেরে রেকর্ড হারে বাড়ছে অ্যাকটিভ কেসও। এদিন আরও একবার দৈনিক অ্যাকটিভ কেস বেড়েছে লক্ষাধিক।
এই অবস্থায় আগামী ৪ জুন থেকে CBSE-র পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা থাকলেও ছাত্রছাত্রী ও শিক্ষকদের সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে, তা আপাতত স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। বাতিল করা হয়েছে CBSE-র দশম শ্রেণির এই গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা।
বুধবার CBSE-র তরফে এই ঘোষণার পর থেকেই জল্পনা চলছে যে এবার অপর সর্বভারতীয় বোর্ড CISCE কী সিদ্ধান্ত নেবে সেই নিয়ে। ইতিমধ্যেই জল্পনা ছড়িয়েছে বিভিন্ন মহলে। CISCE-র সচিব জেরি অ্যারাথুন জানিয়েছেন, দশম ও দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষা নিয়ে খুব তাড়াতাড়ি সিদ্ধান্ত নেবে বোর্ড। আগামী ৪ মে থেকে বোর্ডের দশম শ্রেণির পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। চলবে জুনের ৭ তারিখ পর্যন্ত। দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষা চলার কথা ১৮ জুন পর্যন্ত।
ইতিমধ্যে বেশ কিছু রাজ্য শিক্ষা পর্ষদ তাঁদের পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যার মধ্যে অন্যতম মধ্যপ্রদেশ, পঞ্জাব, মহারাষ্ট্র ও রাজস্থান। আবার হরিয়ানা, কর্ণাটকের মতো রাজ্য এই বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি।
CBSE-র মতোই সারা দেশ জুড়ে দশম ও দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষা গ্রহণ করে CISCE। এর আগে বোর্ড জানিয়েছিল তারা বোর্ডের পরীক্ষা পিছনো বা বাতিল করার মতো কোনও সিদ্ধান্ত নেবে না। কিন্তু, পরবর্তী পরিস্থিতিতে যেখানে CBSE পরীক্ষা বাতিল ও পিছিয়ে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে, সেখানে CISCE কী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে এখন সেই দিকেই তাকিয়ে রয়েছে গোটা দেশ।
এমন আবহে প্রশ্ন উঠছে পশ্চিমবঙ্গে মাধ্যমিক-উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা দিনক্ষণ পরিবর্তন হবে? এই প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানান, "আমরা চিন্তাভাবনা করে আগে থেকেই পরীক্ষার জুন মাসে নিয়ে গিয়েছি। জীবাণুমুক্তকরণ, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা সমস্ত নিয়মকানুন আমরা বিভিন্নস্তরে এই নিয়ে আলাপ আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছি। ইতিমধ্যে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের আধিকারিকরা একাধিকবার বৈঠক করেছেন। আমরা বহু আগে থেকেই সিদ্ধান্ত নিয়েছি, ভোটের পর জুন মাসে আমরা মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিকের পরীক্ষা গ্রহণ করা হবে। আগে থেকে ব্যবস্থা নেওয়ার ফলে জুন মাসের মাঝামাঝি থেকে চলে গিয়েছে পরীক্ষা।" পরিস্থিতির দিকে নজর রেখে শিক্ষামন্ত্রী। তাঁর দাবি, "যখন এখন পরিস্থিতির উদ্ভব ঘটে, তখন আমরা সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করব। কারণ পড়ুয়াদের স্বাস্থ্য আগে। ছাত্র-ছাত্রীদের যাতে বছর নষ্ট না হয় সেটা লক্ষ্য রাখতে হবে।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন