জনসাধারণের রায়ে ২০২১-এর নির্বাচনে বড় জয় পেয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন তৃণমূল কংগ্রেস। বিরোধী শিবিরকে উড়িয়ে ডবল সেঞ্চুরি পার করে জয়ী হয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা। ইতিমধ্যেই জয়যুক্ত সরকারের তরফে নেওয়া উন্নয়নমূলক পদক্ষেপগুলির পাশে থাকার বার্তা দিয়েছে বণিকসভা ও শিল্পপতিরা। একইসঙ্গে তাঁরা ব্যক্ত করেছেন শিল্পের উন্নয়নে নতুন সরকারের কাছে তাঁদের আশা। কারও আশা, আগের ১০ বছরের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে আগামী পাঁচ বছরে শিল্পের উন্নয়ন আরও ত্বরান্বিত করবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এদিন মন্ত্রীদের দফতর বণ্টনের কাজ শেষ। মুখ্যমন্ত্রীর নিজের হাতে রইল পার্বত্য বিষয়ক, ভূমি ও ভূমি সংস্কার, উত্তরবঙ্গ উন্নয়নের মতো বেশ কয়েকটি দফতর। অর্থ ও পরিকল্পনা বিষয়ক মন্ত্রী অমিত মিত্র। কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
সোমবার রাজভবনে রাজ্যের স্কুল শিক্ষা দফতরের প্রতিমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন মেখলিগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক পরেশচন্দ্র অধিকারী। শপথ নিয়ে জানিয়েছেন, 'জনগণের আশীর্বাদ নিয়ে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের শিক্ষা দফতরের প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছি। আশা করি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে দায়িত্ব দিয়েছেন তা পালন করব। একিসাথে এলাকার বেকার যুবক যারা শিক্ষা দফতরে চাকরির জন্য অপেক্ষা করছেন তাঁদের যাতে সুরাহা হয় সেই চেষ্টা করব।' মেখলিগঞ্জ শহর তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি লক্ষ্মীকান্ত সরকার বলেন, 'পরেশচন্দ্র অধিকারী মন্ত্রী পদে শপথ নিলেন এটা আমাদের জন্য ভাল খবর। আমাদের আরও বড় ইচ্ছা ছিল যে তিনি উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতরের মন্ত্রী হবেন। তবুও উনি মন্ত্রী সভায় স্থান পাওয়ায় আমরা আনন্দিত। উনি মেখলিগঞ্জ ফিরলে স্বাগত কর্মসূচির আয়োজন করা হবে।'
নবান্ন সূত্রে পাওয়া খবর অনুসারে, এবার কর্মসংস্থানে বাড়তি গুরুত্ব দেবে তৃণমূল সরকার। দ্রুত আইনি জালে আটকে থাকা নিয়োগের কাজ শেষ করার ব্যাপারে বাড়তি উদ্যোগ নেবে সরকার। এখন দেখার এই পরিকল্পনা বাস্তবে কতোটা রূপ পায়। আর সেই দিকে তাকিয়ে এই রাজ্যের চাকরি প্রার্থীদের বড় অংশ।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন