দেশে করোনা পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। তবে আগামী ৬ থেকে ৮ সপ্তাহের মধ্যে থার্ড ওয়েভ আছড়ে পড়তে পারে দেশে। দেশের একাধিক রাজ্যে এখনো বন্ধ সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। তবে সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ বিদায় নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই স্কুল খোলার উদ্যোগ নিতে শুরু হয়েছে একাধিক রাজ্য।
কর্ণাটকেও এই তৎপরতা তুঙ্গে। করোনা পরিস্থিতিতে কীভাবে স্কুল চালু করা যায় তা নিয়ে অনেকটাই আলোচনা সারা হয়ে গিয়েছে কর্ণাটক সরকারের।
অপরদিকে, করোনার দ্বিতীয় ঢেউ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে গোটা দেশ। এই মারণ ভাইরাসের সংক্রমণ আটকাতে দীর্ঘদিন লকডাউনে ছিল একাধিক রাজ্য। আসতে আসতে তালা খুলছে একাধিক রাজ্যের। এই অবস্থায় প্রথম রাজ্য হিসেবে সম্পূর্ণ আনলকের পথে হাঁটল তেলেঙ্গনা। জুলাই মাসের ১ তারিখ থেকে সশরীরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা শুরু করছে কে চন্দ্রশেখর রাওর সরকার। বিবৃতি দিয়ে কে চন্দ্রশেখর রাওর সরকার জানিয়েছে, ক্যাবিনেট শিক্ষা দফতরকে সব ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার জন্য প্রস্তুতি সেরে নিতে নির্দেশ দিয়েছে। এর পাশাপাশি শ্রেণিকক্ষে করোনাবিধি বজায় রাখার বিষয়েও নির্দেশিকা প্রকাশের কথা বলেছে ক্যাবিনেট। গত বছর লকডাউন হওয়ার পর থেকেই বন্ধ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি। একাধিক রাজ্যে মাঝে একবার স্কুল খোলার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়। কারণ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার সঙ্গে সঙ্গেই ছড়াতে শুরু করে কোভিড। দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার পর সারা দেশে দেখা দেয় অক্সিজেন সঙ্কট। মৃতের সংখ্যা বাড়ে লাফিয়ে লাফিয়ে। সঙ্কটময় পরিস্থিতিতে অনলাইনেই চলছিল পড়াশোনা। এ বার অফলনাইনে পড়াশোনার শুরু করছে তেলেঙ্গনা।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন