করোনার কারণে আটকে গিয়েছিল সরকারি কর্মীদের ডিএ। তবে আর এক মাসের অপেক্ষা, তারপরই মোটা অঙ্কের মাইনে ঢুকবে সরকারি কর্মচারীদের অ্যাকাউন্টে। ইতিমধ্যেই সপ্তম পে কমিশন সংসদে জানিয়েছে, ১ জুলাই থেকেই আটকে থাকা ডিএ ও ডিআর দেওয়া শুরু হবে।
জানা গিয়েছে, আগামী ১ জুলাই থেকে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারী ও পেনশনভোগীদের মহার্ঘভাতা বাড়তে চলেছে।
গত বছর কোভিডের ধাক্কা ও দেশ জুড়ে লকডাউন ঘোষণার পরেই কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের ডিএ বৃদ্ধি স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল নরেন্দ্র মোদীর সরকার। ২০১৯-এর ডিসেম্বর পর্যন্ত ডিএ-র হার ছিল ১৭%। মার্চে কেন্দ্র ৪% ডিএ বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নেয়। যা ২০২০-র ১ জানুয়ারি থেকে কার্যকর হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু লকডাউনে সরকারের রাজস্ব-আয় কমতে শুরু করায় এবং কোভিডের মোকাবিলায় অর্থের সংস্থানের জন্য এপ্রিলে নির্দেশিকা জারি হয়, ২০২১-এর জুন পর্যন্ত ডিএ বৃদ্ধি স্থগিত থাকবে। আগামী মাস থেকেই ডিএ সুবিধা পাবেন ৫০ লক্ষ সরকারি কর্মী ও ৬৫ লক্ষেরও বেশি অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মী সুবিধা পাবেন। তবে এক্ষেত্রে সপ্তম পে কমিশনের ফিটমেন্ট ফ্যাক্টর ২.৫৭ শতাংশকেও মাথায় রাখতে হবে। অর্থাৎ যদি কোনও কর্মচারির বেসিক বেতন ২০ হাজার টাকা হয়, তবে তা এককালীন বেতন বেড়ে ৫১ হাজার ৪০০ টাকা হবে।
কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রকের শীর্ষ সূত্রের বক্তব্য, "ডিএ বৃদ্ধি স্থগিত রাখার সময়ই বলে দেওয়া হয়েছিল, গত বছরের জানুয়ারি থেকে এ বছরের জুন পর্যন্ত তিন দফায় যে পরিমাণ ডিএ বাড়ার কথা, তা যোগ করেই নতুন ডিএ-র হার স্থির হবে। তবে কোনও ডিএ বাবদ কোনও বকেয়া দেওয়া হবে না। একই সঙ্গে সকলকে বিনামূল্যে ভ্যাকসিন, গরিবদের বিনামূল্যে রেশন এবং সরকারি কর্মচারীদের ডিএ-র বকেয়া মেটানো কেন্দ্রের পক্ষে সম্ভব নয়।"
কিন্তু মাস-মাইনে বা বার্ষিক আয়ব্যয়ের হিসাবে, এই ডিএ কতটা প্রভাব ফেলবে? বর্তমানে একজন সরকারি কর্মচারীর ন্যূনতম আয় ১৮,০০০ টাকা। এই টাকার উপর তিনি বর্ধিত ডিএ পাবেন। এই বর্ধিত ডিএ এর ২,৭০০ টাকা সরাসরি ঢুকবে নিজের ন্যূনতম আয়ের খাতে। বাকি অংশটি যোগ হবে তাঁর প্রাপ্য টাকার অংশের সঙ্গে। অর্থাৎ, একজন সরকারি কর্মচারী তার ন্যূনতম ১৮০০০ টাকার আয়ের উপর বর্ধিত ২৮% ডিএ নিয়ে প্রতি মাসে মোট ৩২,৪০০ টাকা পাবেন বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। যা শুনে স্বস্তির হাসি মধ্যবিত্তের গালে।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন