পড়ুয়াদের ক্ষতি হচ্ছে; স্কুল খোলার পক্ষে সওয়াল

 

করোনা সংক্রমণ থেকে ছাত্র-ছাত্রীদের বাঁচাতে বন্ধ প্রায় সমস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এমন আবহে একটা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে, সরকার শিক্ষাকে বেশি গুরুত্ব দেবে, নাকি স্বাস্থ্যকেই বেশি গুরুত্ব দেবে। এই দোলাচলের মধ্যে আপাতত স্বাস্থ্য সুরক্ষাকেই প্রাধান্য দিচ্ছে সরকার।

কিন্তু দিল্লি AIIMS-এর ডিরেক্টর ডাঃ রণদীপ গুলেরিয়া মনে করেছেন, এবার সময় এসে গিয়েছে শিক্ষার দিকে গুরুত্ব দেওয়া। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলি বন্ধ থাকায় বহু পড়ুয়ার ক্ষতি হচ্ছে। তাই দ্রুত স্কুল-কলেজ খোলার দিকে পদক্ষেপ করা উচিত। গত বছর মার্চে করোনা থাবা বসিয়েছিল ভারতে। সেই সময় পড়ুয়াদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার খাতিরে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল সমস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। কারণ, জমায়েত থেকে সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কা করেছিলেন চিকিৎসকরা। পরবর্তীতে মারণ ভাইরাসের দাপট বাড়ায় লকডাউন জারি হয় গোটা দেশে। প্রথম ধাক্কার আঘাত খানিকটা স্তিমিত হওয়ার পর স্কুল-কলেজ আংশিকভাবে খোলা হয়েছিল। কিন্তু দ্বিতীয় ধাক্কা আঘাত হানায় ফেব্রুয়ারির পর আবার তা বন্ধ করে দিতে হয়। প্রায় বছর দুয়েক স্কুলছাড়া ছাত্র-ছাত্রীরা। এর মধ্যে কোনও কোনও ক্ষেত্রে অনলাইনে পড়াশোনা চালু হয়েছে। কিন্তু দেশের সব প্রান্তে তা এখনও পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হয়নি। তাছাড়া এমন লক্ষ লক্ষ পড়ুয়া আছে, যাদের পরিবারের পক্ষে অনলাইনে পড়াশোনার খরচ চালানো অসম্ভব। AIIMS-এর ডিরেক্টর ডাঃ রণদীপ গুলেরিয়া মনে করছেন, এর ফলে ওই গরিব, পিছিয়ে পড়া শ্রেণির পড়ুয়াদের চরম ক্ষতি হচ্ছে। তাই সরকারের দ্রুত স্কুল খোলার পদক্ষেপ করা উচিত।