গত বছরের এপ্রিলে দেশে আছড়ে পড়েছিল করোনার দ্বিতীয় ঢেউ। হাসাপাতালে বেডের ঘাটতি ও অক্সিজেনের অভাবে পরিস্থিতি ক্রমশ জটিল হয়ে ওঠে। কার্যত দৈনিক মৃত্যুমিছিল শুরু হয়ে গিয়েছিল। পরিস্থিতি এখন অনেকটাই ভাল। কিন্তু এরই মধ্যে আশঙ্কা গাঢ় হচ্ছে তৃতীয় ঢেউকে নিয়ে।
বলা হয়েছে কোভিডের তৃতীয় ঢেউ দ্বিতীয় তরঙ্গের মতো তীব্র হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকলেও ভ্যাকসিন নিতে হবে, করোনা পরিস্থিতি থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য আরও বেশি মাত্রায় টিকাকরণ জরুরি হয়ে পড়েছে। গবেষণায় আরও বলা হয়েছে, টিকাকরণ বাড়ালে তা ভবিষ্যতের তরঙ্গ প্রশমিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারে। কোভিডের তৃতীয় ঢেউ দ্বিতীয় তরঙ্গের মতো তীব্র নাও হতে পারে কিন্তু টিকাদান কোভিডকে প্রশমিত করতে সাহায্য করতে পারে।
সমীক্ষায় প্রমাণিত, করোনার নতুন স্ট্রেন কোনও নতুন তরঙ্গের কারণ হওয়ার সম্ভাবনা নেই যদি না এটি পূর্ববর্তী সংক্রমণ থেকে এসে থাকে। আরও একটি সংক্রমণযোগ্য স্ট্রেন তৃতীয় তরঙ্গের কারণ হতে গেলে প্রজনন সংখ্যার প্রান্তিক পার হতে হবে ৪.৫।
গবেষণায় আরও বলা হয়েছে, টিকা দেওয়ার প্রচেষ্টা বেশি হলে তা ভবিষ্যতের তরঙ্গ প্রশমিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারে। কোভিডের তৃতীয় ঢেউ ভয়ঙ্কর না হলেও, একে হাল্কাভাবে নিতে বারণ করছেন বিশেষজ্ঞরা, তাঁদের মতে ভ্যাকসিনের কভারেজ বাড়ানো গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন