করোনা আবহে চাকরি প্রার্থীদের জন্য ভাল খবর। আইনি জটে প্রায় বছর-দুয়েক ধরে আটকে ছিল নিয়োগ প্রক্রিয়া। বৃহস্পতিবার সেই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ছাড় দিল পাটনা হাইকোর্ট। তার ফলে বিহারে প্রায় ১.২৫ লাখ শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে আর জটিলতা থাকল না।
এর পাশাপাশি আবেদনের জন্য তাঁদের বাড়তি সময় দেওয়ারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। প্রায় ১.২৫ লাখ শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়াকে চ্যালেঞ্জ করে ২০১৯ সালে মামলা দায়ের করেছিল জাতীয় ফেডারেশন অফ ব্লাইড (বিহার চ্যাপ্টার)। ওই সংস্থার তরফে দাবি করা হয়, নিয়োগ প্রক্রিয়ায় দৃষ্টিহীনদের জন্য আসন সংরক্ষণ রাখা হয়নি। সেই মামলায় পাটনা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি সঞ্জয় করোল এবং বিচারপতি সঞ্জয় কুমার জানান, রাজ্যের প্রাথমিক এবং মাধ্যমিক স্তরের স্কুলে শিক্ষক নিয়োগের মেধাতালিকা প্রকাশের বিষয়টি নিশ্চিত করতে পুরো প্রক্রিয়ায় গতি আনতে হবে। এক মাসের মধ্যে পুরো প্রক্রিয়া শেষ করে বিশেষভাবে সক্ষম প্রার্থী-সহ পুরো ফলাফল প্রকাশ করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। অ্যাডভোকেট জেনারেল ললিত কিশোর জানিয়েছেন, যে বিশেষভাবে সক্ষম প্রার্থীরা নিয়োগ প্রক্রিয়ার বিজ্ঞপ্তিতে দেওয়া শেষ তারিখের মধ্যে যোগ্যতা পূরণ করতে পেরেছেন, তাঁদের আবার সুযোগ দিতে রাজি হয়েছে রাজ্য সরকার। নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, আবেদনের শেষদিন ছিল ১১ নভেম্বর। অ্যাডভোকেট জেনারেল এই প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, আবেদনের জন্য বিশেষভাবে সক্ষম প্রার্থীদের ১৫ দিন দেওয়া হবে। তারপর সকলের ফলাফল ঘোষণা করবে সরকার।
প্রসঙ্গত, আইনি জটে পশ্চিমবঙ্গের আপার প্রাইমারির শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া সাত বছরের বেশি সময় আটকে আছে। আর সেই জটিলতা কাটবে কবে? আর সেই দিকে তাকিয়ে বঙ্গের কয়েক হাজার চাকরি-প্রার্থী।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন