আপার প্রাইমারি বা উচ্চ প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ব্রেক আপ নম্বর-সহ ইন্টারভিউ তালিকা প্রকাশ করল স্কুল সার্ভিস কমিশন। আজ, বৃহস্পতিবার স্কুল সার্ভিস কমিশনের নিজস্ব ওয়েবসাইটে এই তালিকা প্রকাশিত করা হয়েছে। তবে তা সামনে আসার পর নতুন করে বিতর্ক শুরু হয়েছে। যোগ্য নম্বর থাকা সত্ত্বেও অনেকের নামই তালিকায় নেই বলে অভিযোগ উঠতে শুরু করে দিয়েছে।
আপারে আবেদনকারী হিসেবে যতজন প্রার্থী নিজেদের নথি যাচাইয়ের জন্য অনলাইনে তা আপলোড করেছিলেন, তাঁদের বিস্তারিত তথ্য সামনে আসার পর দেখা গিয়েছে, সবমিলিয়ে প্রায় ১ লক্ষ ৩২ হাজার প্রার্থীর বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।
১. যে সমস্ত প্রার্থী ইন্টারভিউয়ের জন্য ডাক পেয়েছেন, তাঁদের জন্য আলাদা লিংক দিয়ে নম্বর-সহ সমস্ত বিস্তারিত তথ্য দেওয়া হয়েছে।
২. যে সব প্রার্থীরা ইন্টারভিউয়ের জন্য ডাক পাননি, তাঁদের প্রাপ্ত নম্বর কাট অফ মার্কসের নিচে থাকায় আলাদা লিংক দিয়ে ব্রেক আপ নম্বর-সহ সব তথ্য দেওয়া হয়েছে।
৩. যে সব প্রার্থীর নথি আপলোড সমস্যার কারণে বাতিল হয়েছেন, তাঁদের জন্য আলাদা লিংক দিয়ে সমস্ত তথ্য বিস্তারিতভাবে দেওয়া হয়েছে।
৪. যে সব প্রার্থীর প্রশিক্ষণ নেই তাঁদের তালিকা আলাদা লিংক দিয়ে বিস্তারিত তথ্য-সহ দেওয়া হয়েছে।
৫. বিষয়ভিত্তিক মিডিয়াম, সাবজেক্ট ক্যাটাগরি ভিত্তিক জেন্ডার অনুযায়ী সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন কাট অফ মার্কস প্রকাশিত হয়েছে।
উল্লেখ্য, এর আগে বিচারপতি স্কুল সার্ভিস কমিশনকে নির্দেশ দিয়েছেন, সাতদিনের মধ্যে ইন্টারভিউয়ে ডাক পাওয়া প্রার্থীদের নম্বর বিভাজন প্রকাশ করতে হবে।
আইনজীবীদের সূত্রে খবর, যাঁরা ইন্টারভিউয়ে ডাক পাননি, তাঁদেরও বাতিল করার কারণ জানাতে হবে। কমিশন এই নির্দেশ মেনে তা করতে সম্মত হয়েছে।
বহু বার অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। আদালতে দায়ের হয়েছে মামলা। এর ফলে আটকে গিয়েছে নিয়োগ প্রক্রিয়া। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে উচ্চ প্রাথমিকে নিয়োগের সেই প্রক্রিয়া শুরু হলেও ফের বেনিয়মের অভিযোগে মামলা হয় আদালতে। সেই মামলায় স্কুল সার্ভিস কমিশনকে নতুন করে ইন্টারভিউ লিস্ট প্রকাশ করতে বললেন বিচারপতি। সাতদিনের মধ্যে সেই তালিকা প্রকাশ করতে বলা হয়েছে। এর পাশাপাশি, গত বুধবার নিয়োগ প্রক্রিয়া স্থগিত করার যে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, তার মেয়াদও বাড়ালেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।
প্রসঙ্গত, উচ্চ প্রাথমিকে বেনিয়মের অভিযোগ নতুন ঘটনা নয়। সম্প্রতি অনিয়মের অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলায় সরাসরি এসএসসি-র চেয়ারম্যানকে তলব করা হল হাইকোর্টে। নিয়োগ প্রক্রিয়ায় স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছিল আগেই। গত শুক্রবার ফের সেই মামলার শুনানি হওয়ার কথা ছিল। এর পর চেয়ারম্যানকে হাইকোর্টে উপস্থিত হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। শুক্রবার এই মামলার শুনানিতে বোর্ডের তরফে কেউ হাজির ছিলেন না, তাই ক্ষুব্ধ হন বিচারপতি। এরপরই চেয়ারম্যানকে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয় । বেনিয়মের অভিযোগ তুলে হাইকোর্টে মামলা করেছেন দুই প্রার্থী মৌমিতা মিত্র ও শেখ জামালউদ্দিন। তাঁদের দাবি, তাঁদের থেকে কম নম্বর পাওয়া প্রার্থীরা ইন্টারভিউর তালিকায় জায়গা পেলেও তাঁদের নাম ওই তালিকায় নেই।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন