আপার প্রাইমারি বা উচ্চ প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের জন্য সোমবার শুরু হল অফলাইন ইন্টারভিউও। কিন্তু নতুন জটিলতার সৃষ্টি হওয়ায় সেই নিয়োগ প্রক্রিয়া কবে এবং কতটা মসৃণ ভাবে সম্পন্ন হবে, তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে।
নতুন জটিলতার মূলে আছে কলকাতা হাই কোর্টে স্কুল সার্ভিস কমিশন বা এসএসসি-র একটি আবেদন। নিয়োগে অস্বচ্ছতা নিয়ে অভিযোগ যে নিতান্ত কম নয়, তা কার্যত মেনে নিয়ে এসএসসি। আদালতের নির্দেশে স্কুল সার্ভিস কমিশন তিনটি মাধ্যমে অভিযোগ নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছিল। কমিশন সূত্রে পাওয়া খবর, উচ্চ প্রাথমিক বা আপার প্রাইমারিতে ইন্টারভিউ তালিকা নিয়ে প্রায় সাড়ে ৭ হাজার অভিযোগ জমা পড়েছে।
এ দিন কমিশন হাই কোর্টে জানিয়েছে, এই অভিযোগের পাহাড় সামলানোর মতো লোকবল তাদের নেই। তাই আদালত অভিযোগের নিষ্পত্তির জন্য যে-সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে, তা বদলানো হোক। বহু কর্মপ্রার্থীর অভিযোগ, নিজেদের গাফিলতি ঢাকার জন্য কর্মী-সংখ্যার স্বল্পতার দোহাই নিয়ে সময় বাড়াতে চাইছে কমিশন। তাদের এই আর্জির বিরুদ্ধে অনেক প্রার্থী পাল্টা আদালতের দ্বারস্থ হতে পারেন বলে শিক্ষা সূত্রের খবর।
ওই আর্জিতে বলা হয়েছে, তাদের সচিব পদে অফিসার কম। ডেপুটি সেক্রেটারি আছেন তিন জন। কিন্তু যে-পরিমাণে অভিযোগ জমা পড়েছে, নির্ধারিত সময়ে তার নিষ্পত্তি করতে ন্যূনতম ১০ জন অফিসার প্রয়োজন। ৯ জুলাই উচ্চ প্রাথমিকে নিয়োগে স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দেন, যাঁরা ইন্টারভিউয়ের তালিকায় ঠাঁই পাননি, তাঁরা কমিশনে অভিযোগ দায়ের করতে পারেন এবং কমিশনকে তিন মাসের মধ্যে সেই সব অভিযোগের যথাযথ নিষ্পত্তি করতে হবে। কমিশনের বক্তব্য, তারা কম লোকবল নিয়ে ওই সময়ের মধ্যে সব অভিযোগের সুরাহা করতে পারবে না।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন