উচ্চ প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগে কি জট কাটতে চলেছে? শুক্রবার হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে তেমনটাই আশা করছেন প্রার্থীরা। তিনি এদিন স্কুল সার্ভিস কমিশনকে নির্দেশ দিয়েছেন, সাতদিনের মধ্যে ইন্টারভিউয়ে ডাক পাওয়া প্রার্থীদের নম্বর বিভাজন প্রকাশ করতে হবে। আইনজীবীদের সূত্রে খবর, যাঁরা ইন্টারভিউয়ে ডাক পাননি, তাঁদেরও বাতিল করার কারণ জানাতে হবে। কমিশন এই নির্দেশ মেনে তা করতে সম্মত হয়েছে।
উল্লেখ্য, বহু বার অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। আদালতে দায়ের হয়েছে মামলা। এর ফলে আটকে গিয়েছে নিয়োগ প্রক্রিয়া।
প্রসঙ্গত, উচ্চ প্রাথমিকে বেনিয়মের অভিযোগ নতুন ঘটনা নয়। সম্প্রতি অনিয়মের অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলায় সরাসরি এসএসসি-র চেয়ারম্যানকে তলব করা হল হাইকোর্টে। নিয়োগ প্রক্রিয়ায় স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছিল আগেই। আজ, শুক্রবার ফের সেই মামলার শুনানি হওয়ার কথা ছিল। এ দিনই দুপুর ২ টোয় চেয়ারম্যানকে হাইকোর্টে উপস্থিত হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। শুক্রবার এই মামলার শুনানিতে বোর্ডের তরফে কেউ হাজির ছিলেন না, তাই ক্ষুব্ধ হন বিচারপতি। এরপরই চেয়ারম্যানকে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয় বলে আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে। বেনিয়মের অভিযোগ তুলে হাইকোর্টে মামলা করেছেন দুই প্রার্থী মৌমিতা মিত্র ও শেখ জামালউদ্দিন। তাঁদের দাবি, তাঁদের থেকে কম নম্বর পাওয়া প্রার্থীরা ইন্টারভিউর তালিকায় জায়গা পেলেও তাঁদের নাম ওই তালিকায় নেই। গত বুধবারই সিঙ্গল বেঞ্চে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এই মামলা শোনেন এ দিন।
তবে, পরীক্ষার্থীদের একাংশের আশঙ্কা, এই অল্প সময়ের মধ্যে কমিশন এত বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করতে পারবে কি না। ইন্টারভিউয়ে ডাক পাওয়া প্রার্থীর সংখ্যা কম করে ২১ হাজার। আর আবেদন করেছিলেন ১ লক্ষ ২০ হাজারের উপর। আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী, সবার নম্বর বিভাজন প্রকাশ করতে হবে এবং বাদ পড়ার কারণ জানাতে হবে। যদিও কমিশন সূত্রে খবর, এবার সব কিছুই কম্পিউটার চালিত হওয়ায় কিছুটা হলেও এই কাজ সহজ হয়েছে। তবে, শেষ পর্যন্ত কী হয়, সেটাই এখন দেখার।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন