উচ্চ মাধ্যমিকে ফলপ্রকাশের পর থেকেই জেলায় জেলায় পড়ুয়াদের বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। পরীক্ষা না নিয়েই কীভাবে ফেল করানো হল? এই প্রশ্ন তুলে খোদ সংসদের বাইরে, এবং প্রত্যেক জেলায় বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন পড়ুয়ারা। লাগাতার গণ্ডগোলের জেরে এ বার উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি মহুয়া দাসকে নবান্নে তলব করলেন হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। সূত্রের খবর, শনিবার নবান্নে ডাক পেয়েই ছোটেন মহুয়া। সেখানে এক উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক হচ্ছে বলে খবর নবান্ন সূত্রে।
প্রসঙ্গত, মেধাবী ছাত্রীর কৃতিত্বের গায়ে সম্প্রদায়ের 'ছাপ্পা মেরে' প্রবল চাপে উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি মহুয়া দাস। বিকাশ ভবন সূত্রে খবর, ইতিমধ্যে তাঁকে শোকজ করা হয়েছে। কেন তিনি উচ্চমাধ্যমিকে সর্বোচ্চ নম্বর পাওয়া রুমানার ধর্ম উল্লেখ করেছেন, তার কৈফিয়ৎ তলব করেছে রাজ্য সরকার। বিষয়টিকে অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্কুলশিক্ষা দফতরের এক কর্তা।
কানাঘুষো শোনা যাচ্ছে ইস্তফা দিতে পারেন মহুয়া দেবী। এসবের মধ্যেই এদিন সংসদ সভাপতি মহুয়া দাসের পদত্যাগের দাবিতে পথে নামেন এসএফআইয়ের কর্মী-সমর্থকরা। জেলা শিক্ষা ভবনের সামনে বিক্ষোভ দেখিয়ে সংসদ সভাপতির বিরুদ্ধে সরব হন আন্দোলনকারীরা। মহুয়া দাসকে অপদার্থ,অশিক্ষিত বলেও স্লোগান দেওয়া হয়।
এই বিষয়ে এসএফআইয়ের জেলা কমিটির সদস্য বিশাল দাস বলেন, "উচ্চমাধ্যমিকের ফল প্রকাশ করতে গিয়ে সংসদ সভাপতি যেভাবে প্রথম স্থানাধিকারী ছাত্রীর ধর্ম দিয়ে পরিচয় দিলেন তার তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি আমরা। মেধা কখনই ধর্ম দিয়ে পরিচয় দেওয়া যায় না। আবার ধর্মের পরিচয় মেধা দিয়ে হয় না।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন