জনপ্রতিনিধিদের অপরাধ-যোগ প্রকাশ্যে আনতে হবে। মনোনীত হওয়ার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তা সামনে আনতে হবে। মঙ্গলবার যুগান্তকারী নির্দেশ দিল শীর্ষ আদালত। ২০২০ সালে রাজনীতিকে অপরাধ-মুক্ত করতে বড় পদক্ষেপ করেছিল সুপ্রিম কোর্ট। এবার সেই নির্দেশকেই আরও কিছুটা কড়া হল বলে মনে করা হচ্ছে।
এই নির্দেশ দেওয়ার সময়ই বিচারপতিরা 'রাজনীতিতে অপরাধীদের সংখ্যা আশঙ্কাজনক ভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে মন্তব্য করেন। জানিয়ে দেন, "গত চারটি সাধারণ নির্বাচনের দিকে তাকালে দেখা যাচ্ছে রাজনীতিতে অপরাধীদের সংখ্যা আশঙ্কাজনক ভাবে বেড়েছে। ২০০৪ সালে যেখানে ২৪ শতাংশ সাংসদের নামে অপরাধের মামলা ছিল সেখানে ২০০৯ সালে তা বেড়ে হয় ৩০ শতাংশ। ২০১৪ সালে সেটা দাঁড়ায় ৩৪ শতাংশে। ২০১৯ সালে তা হয় ৪৩ শতাংশ।"
২০২০ সালে বিহারে বিধানসভা ভোটের সময় দেখা গিয়েছিল প্রায় ৩১ শতাংশ প্রার্থীর বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা রয়েছে। এ নিয়ে আদালত রায় দিলেও তাতে খুব একটা কাজ হয়নি বলেই অভিযোগ উঠেছিল। এরপরই সুপ্রিম কোর্ট বিষয়টি নিয়ে ভর্ৎসনা করে বিভিন্ন জাতীয় ও আঞ্চলিক রাজনৈতিক দলকে। তখনই আদালত জানিয়েছিল, কোনও প্রার্থীর যদি ক্রিমিনাল রেকর্ড থাকে তা মনোনয়নপত্রে স্পষ্ট ভাবে উল্লেখ করতে হবে। নির্বাচিত হওয়ার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে কিংবা মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার কমপক্ষে দু- সপ্তাহ আগে সেই বিস্তারিত জমা দিতে বলা হয়। এদিন সুপ্রিম কোর্ট সেই সময়সীমা নির্দিষ্ট করে দিল। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই তা জানাতে হবে।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন