ফের নিয়োগ নিয়ে গুরুতর অভিযোগ। মেধা তালিকায় নাম থাকলেও নিয়োগ করা হয়নি বলে অভিযোগ। পাবলিক সার্ভিস কমিশনে (PSC) নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ করে স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইবুনালের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে দায়ের হল মামলা। এদিন, মঙ্গলবার স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইব্যুনালের বা SAT এর নির্দেশ খারিজ করে কড়া নির্দেশ দিল বিচারপতি সৌমেন সেন ও বিচারপতি হিরন্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ।
২০১৬ সালে জুনিয়র সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং পদে মোট ১৩৭৮টি শূন্য পদের জন্য বিজ্ঞপ্তি জারি করে পাবলিক সার্ভিস কমিশন। এর পর ২০১৭ সালে জানুয়ারি মাসে মেধা তালিকা প্রকাশ করে তারা।
এর পরে কৌশিক চ্যাটার্জি-সহ মোট ৫৮ জন নিয়োগের জন্য আবেদন জানান পাবলিক সার্ভিস কমিশনে। এদিকে পাবলিক সার্ভিস কমিশনের তরফে এই আবেদনকারীদের জানানো হয় নিয়োগের সময়সীমা আগেই পেরিয়ে গিয়েছে। অথচ, জানুয়ারি ২০১৯ সালে নতুন করে ৫৫ জনকে নিয়োগ দেওয়া হয়। এরপরেই পিএসসি-র বিরুদ্ধে নালিশ জানিয়ে গত ২০১৯ সালে স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের হয়।
এর পরে মামলাটি খারিজ করে দেয় স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইবুনাল। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করেই কলকাতা হাইকোর্টে দ্বারস্থ হন মামলাকারীরা। মঙ্গলবার সংশ্লিষ্ট মামলার শুনানিতে কৌশিক চ্যাটার্জী সহ ৫৮ জন মামলাকারীরা পক্ষের আইনজীবী আশিস কুমার চৌধুরী জানান, স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইব্যুনাল শূন্যপদ থাকা সত্ত্বেও আবেদনকারীদের নিয়োগ করেনি। কেন এই নিয়োগ দেওয়া হলো না, তার যথার্থ ব্যাখ্যা কিন্তু পাবলিক সার্ভিস কমিশন দিতে পারেনি। এদিকে তা সত্ত্বেও SAT মামলাকারীদের আবেদন খারিজ করে দেয়। যা সম্পূর্ণ অবৈধ বলে দাবি করেন মামলাকারীদের আইনজীবী।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন