ইতিমধ্যে করোনার তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়েছে গোটা বিশ্বে। সংক্রমণ আটকাতে একাধিক দেশে চলছে টিকাকরণ প্রক্রিয়া। একই সঙ্গে চলছে একাধিক সংস্থার টিকা সংক্রান্ত গবেষণার কাজ। ফাইজারসহ অনেক টিকাই ১২ বছরের উর্ধ্বে শিশুদের জন্য অনুমোদন পেয়েছে।
২০২০ সালের মার্চে দেশে করোনা থাবা বসানোর পরই স্কুল-কলেজ-সহ সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল সরকার। পরবর্তীতে নির্দিষ্ট দুটি শ্রেণির ক্লাস নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তবে করোনা পরিস্থিতি ফের হাতের বাইরে চলে যাওয়ায় পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হয় স্কুল-কলেজ। চলতি বছরেও মাধ্যমিক-উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষাও নেওয়া সম্ভব হয়নি। তবে বর্তমানে করোনা পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে।
লকডাউনের কারণে সমস্যায় পড়তে হয়েছে গ্রামাঞ্চলের পড়ুয়াদের। আর্থিক দিক থেকে সচল না থাকায় তাদের কাছে অনলাইন ক্লাস একটা বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই পরিস্থিতিতে স্কুল খোলাকে কেন্দ্র করে নয়া নির্দেশ জারি করল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার। সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, স্কুলে যাওয়ার জন্য পড়ুয়াদের ঠিকানা নিলেও চলবে। এপ্রসঙ্গে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কোভিড-বিশেষজ্ঞ কমিটির সদস্য বলেন, "স্কুলে পড়াশোনার জন্য শিশুদের টিকা দেওয়ার প্রয়োজন নেই। সেই কারণে এখন থেকে তাদের জন্য আর স্কুলের দরজা বন্ধ করে রাখা উচিত নয়।"
যদিও শিক্ষক থেকে সমস্ত স্কুল কর্মীদের টিকাকরণের বিষয়ের ওপর জোর দিচ্ছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। সংস্থার কর্মকর্তারা আবেদন করেছেন যে, স্কুল-কলেজ খোলার আগে সমস্ত প্রাপ্ত বয়স্কদের যেন টিকাকরণ সম্পূর্ণ হয় সে বিষয়ে নজর রাখতে হবে স্কুল কর্তৃপক্ষকে।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন