এদিন আদালতে স্বস্তি প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ সভাপতির। আদালত অবমাননা মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হল পর্ষদ সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যকে। যদিও সোমবার পর্ষদ সভাপতিকে আদালতের তিরস্কারের মুখে পড়তে হয়। পর্ষদের সর্বোচ্চ পদাধিকারীর কোনও রকম 'ইগো' থাকতে পারে না বলেই মন্তব্য করেছেন বিচারপতি।
টেট পরীক্ষা (২০১৪) নিয়ে মামলায় প্রশ্নপত্রতেই ভুল ছিল বলে জানা যায়। সেই প্রেক্ষিতে সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায় নির্দেশ দেন, ভুল প্রশ্নের উত্তর যারা দিয়েছেন তাদের পূর্ণাঙ্গ নম্বর দিতে হবে। এর আগেও ২০১৪ সালের প্রাথমিক টেট মামলায় গাফিলতির অভিযোগে নিজের পকেট থেকে প্রত্যেক মামলাকারীকে ২০ হাজার টাকা করে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু ভুল প্রশ্নপত্রের উত্তরদাতাদের নম্বর না দেওয়ার কারণে পরবর্তী সময় আদালত অবমাননার মামলা দায়ের করা হয় মানিক ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে।
এর পাশাপাশি গত ১০ সেপ্টেম্বর কলকাতা হাইকোর্ট নির্দেশ দেয়, মানিক ভট্টাচার্যকে সশরীরে আদালতে হাজির হতে হবে। সোমবারই ছিল সেই হাজিরার দিন।
আজ শুনানি চলাকালীন পর্ষদ সভাপতি জানান, মামলাকারী নীলোৎপল গুছাইত তাঁর নিয়োগপত্র পেয়ে গিয়েছেন। কিন্তু এ ক্ষেত্রে সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, পর্ষদের শীর্ষে রয়েছেন এমন একজনকে আদালতে এসে হাজিরা দিতে হচ্ছে। তাও আদালত অবমাননার দায়ে। এই ইস্যুতে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের পর্যবেক্ষণ, এটা খুবই খারাপ দেখায়, একজন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সর্বোচ্চ পদে থাকা কোনও ব্যক্তিকে যখন আদালতে আসতে হয়।
এদিকে, এদিনই রাজ্য মন্ত্রীসভা সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রাথমিকের মোট ৩ হাজার ৯২৫টি শূন্য পদে খুব শিগগির নিয়োগ করা হবে। আর এই শূন্য পদ রয়েছে শুধুমাত্র ২ টি জেলাতেই। জেলা দুটি হল মালদহ ও উত্তর ২৪ পরগনা। ২০০৯ সালে যে প্যানেল প্রকাশিত হয়েছিল এবং নিয়োগ প্রক্রিয়া স্থগিত ছিল তা নিয়ে এদিন বৈঠক হয় মন্ত্রীসভায়। তারপরেই নেওয়া হয় নিয়োগের সিদ্ধান্ত। রাজ্যের মুখ্যসচিব হরেকৃষ্ণ দ্বিবেদী আজ এই কথা জানান সাংবাদিকদের।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন