আগামী মঙ্গলবার ফের প্রবল বৃষ্টিতে ভাসতে পারে কলকাতা সহ গোটা দক্ষিণবঙ্গ। এ দিন এমনই পূর্বাভাস দিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। শুক্রবার বিকেলে আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়ে দিয়েছে, একটি সুস্পষ্ট নিম্নচাপ পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগরের উপরে অবস্থান করছে। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এই নিম্নচাপ আরও শক্তি বৃদ্ধি করবে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় নিম্নচাপটি শক্তি বাড়িয়ে ধীরে ধীরে উত্তর-পশ্চিমের দিকে অগ্রসর হয়ে ওড়িশা উপকূলের দিকে এগোবে।
এই জোড়া ঘূর্ণাবর্তের ধাক্কায় ২৬ তারিখ থেকেই প্রবল বর্ষণ শুরু হবে দক্ষিণবঙ্গের প্রায় ১০ টি জেলায়। ২৬ ও ২৭-এর পর ২৮ তারিখ বৃষ্টির পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে। প্রথম দু-দিন হলুদ সতর্কতা জারি করা থাকলেও ২৮ সেপ্টেম্বরের জন্য এখন থেকেই কমলা সতর্কতা জারি করে দিয়েছে আবহাওয়া দফতর। আবহাওয়া দফতরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ২৬ তারিখ শুধুমাত্র পূর্ব মেদিনীপুরে ভারী বৃষ্টি হবে। দক্ষিণের বাকি জেলাগুলোয় হালকা বৃষ্টিপাত হতে পারে। ২৭ তারিখ দুই মেদিনীপুর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ভারী বৃষ্টিপাত হবে। কিন্তু ২৮ তারিখ দুই মেদিনীপুরের পাশাপাশি দুই ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলি, কলকাতা, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রামে অতিভারী বৃষ্টি হবে। নিম্নচাপটি যেহেতু বর্তমানে সমুদ্রের উপরে অবস্থান করছে সেই কারণে ২৫ তারিখ থেকে মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে বারণ করা হয়েছে হাওয়া অফিসের পক্ষ থেকে। ২৮ তারিখ দক্ষিণবঙ্গের নদীগুলিতে জলের পরিমাণ অনেকটাই বাড়বে। যার দরুণ নিচু জায়গাগুলোতে আবারও জল জমার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। আগাম সতর্কতা অবলম্বন করে বাংলা ও ওড়িশার তটে উপকূল বাহিনীকে মোতায়েন করা হয়েছে। দুর্যোগের তিন দিন হাওয়ার গতিবেগ ৪০-৫০ কিলোমিটারের মধ্যেই থাকতে পারে বলে জানানো হয়েছে। ঝড়-বৃষ্টির সময় কাউকে বাড়ি থেকে না বের হওয়ার পরামর্শ দিয়েছে আবহাওয়া দফতর।
উল্লেখ্য, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে প্রাণহানির ঘটনাও রাজ্যে নতুন নয়। দমদম, খড়দহ, আগরপাড়া, নদিয়া, পূর্ব মেদিনীপুর, মালদহে মৃত্যুও হয়েছে বেশ কয়েকজনের। সেই ঘটনাকেই হাতিয়ার করেছে বিরোধীরা। বিদ্যুৎ দফতরের উদাসীনতায় এমন দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা ঘটছে বলেই দাবি। কলকাতায় জলছবির নেপথ্যে পুরসভার কাজ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধীরা। শুক্রবার ভবানীপুরের ভোটপ্রচারে সে প্রসঙ্গে বিরোধীদের পালটা জবাব দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, "বাংলা নৌকার মতো। এর পাশাপাশি রাজ্যে বৃষ্টি হলে এখানে জল চলে আসে। আগে বৃষ্টি হলে ৭-১০ দিন জল থাকত। এখন অনেক পাম্পিং স্টেশন করা হয়েছে। বৃষ্টি বেশি হলে সতর্ক থাকুন। জল জমলে বিদ্যুতের খুঁটিতে হাত দেবেন না।"
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন