স্কুল খোলার প্রস্তুতি শুরু করল রাজ্য সরকার। তবে ক্লাস চালুর আগে স্কুল পড়ুয়াদের আধার নথিভুক্তির কাজ শুরু হচ্ছে। জরুরি ভিত্তিতে আধার নথিভুক্ত করাবেন ডিআই বা স্কুল পরিদর্শকরা। ১ অক্টোবর থেকে আধার নিয়ে পাইলট প্রজেক্ট শুরু করছে রাজ্য।
পশ্চিমবঙ্গের স্কুল পড়ুয়াদের আধার কার্ড রয়েছে কি না সে সংক্রান্ত একটি তালিকা তৈরির জন্য এবং যাদের আধার কার্ড রয়েছে, তাদের সেই নম্বর রাজ্যের পোর্টালে নথিভুক্ত করা রয়েছে কি না এ সংক্রান্ত একটি পাইলট প্রজেক্ট শুরু করছে রাজ্য সরকার। পুজোর আগেই গুরুত্বপূর্ণ এই প্রকল্পে হাত দিচ্ছে নবান্ন।
সেখানে মূলত নবম এবং দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র-ছাত্রীদের আধার 'এনরোলমেন্ট' হবে। ১ অক্টোবর থেকে শুরু হয়ে ৮ অক্টোবর পর্যন্ত এই পাইলট প্রজেক্ট চলবে। শুধুমাত্র কর্মব্যস্ত দিনেই এই নথিভুক্ত করার কাজ হবে। এরপর পুজোর ছুটি শুরু হয়ে যাচ্ছে। পুজো মিটলে প্রত্যেক পড়ুয়ার আধার নম্বর নথিভুক্ত করার কাজ হবে।
মূলত এই পাইলট প্রজেক্টের দু-টি উদ্দেশ্য। এক, যাদের আধার কার্ড নেই। সেই সমস্ত স্কুল পড়ুয়াদের আধার কার্ড তৈরি করে দেওয়া। দ্বিতীয়ত, স্কুল শিক্ষার সময় থেকেই প্রত্যেক পড়ুয়ার আধার নম্বর থাকা।
দফতরের সচিব জানিয়েছেন, আপাতত পরীক্ষামূলকভাবে এই কাজ শুরু হচ্ছে। পুজোর পর পুরোপুরি আধার নথিভুক্তির কাজ চলবে। উল্লেখ্য, মুখ্যমন্ত্রী আগেই জানিয়েছেন, কোভিড পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলে পুজোর পর স্কুল খুলবে। মাঝে অল্প কিছুদিন নবম থেকে দ্বাদশের ক্লাস ছাড়া টানা দেড় বছর কোভিডের কারণে স্কুল বন্ধ। মাঝে আমফান এবং যশের মত ঘূর্ণিঝড় হয়েছে। বেশকিছু স্কুল ক্ষতিগ্রস্ত। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার কারণে জেল্লা হারিয়েছে বহু স্কুল। সাফাই এবং সংস্কারের জন্য স্কুলগুলিকে আর্থিক সাহায্য করছে রাজ্য সরকার। মাধ্যমিক বা উচ্চমাধ্যমিক স্কুলের জন্য সর্বোচ্চ ৫ লক্ষ টাকা দেওয়া শুরু হয়েছে। উচ্চপ্রাথমিক স্কুল ২ লক্ষ ও প্রাথমিক স্কুলের শ্রেণিকক্ষ মেরামত করতে বরাদ্দ হচ্ছে সর্বোচ্চ ১.৫ লক্ষ টাকা।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন