স্কুলে চতুর্থ শ্রেণি বা গ্রুপ ডি কর্মী নিয়োগ মামলায় নতুন মোড়। এর আগে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছিল, স্কুল সার্ভিস কমিশনের বিরুদ্ধে। এ বার আঙুল উঠল মধ্যশিক্ষা পর্ষদের দিকেও। দুর্নীতি করে ২৫ নয় প্রায় ৫০০ জনের বেশি নিয়োগ করা হয়েছে আদালতে দাবি করলেন মামলাকারীরা। বৃহস্পতিবার বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দেন, প্রত্যেকের নাম, ঠিকানা-সহ তালিকা আদালতে জমা দিতে।
প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালে গ্রুপ ডি কর্মী হিসাবে প্রায় ১৩ হাজার নিয়োগের জন্য সুপারিশ করে রাজ্য।
বুধবার এসএসসি সচিব হাই কোর্টে উপস্থিত হন। এসএসসির তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়, নিয়োগ বন্ধ হয়ে যাওয়ার পরে ওই ২৫ জন চাকরি পান। কীভাবে চাকরি পেলেন তাঁরা, সে সংক্রান্ত প্রশ্ন করে হাই কোর্ট। নিয়োগ সংক্রান্ত নথিপত্র চাওয়া হয়। তবে উপযুক্ত নথিপত্র পেশ করা সম্ভব হয়নি। সে কারণে এসএসসি সচিবকে তীব্র ভর্ৎসনা করেন কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি। তিনি বলেন, "সিআইএসএফ দিয়ে অফিস তল্লাশি করাব? নিয়োগে দুর্নীতি কোনওভাবেই বরদাস্ত নয়।" দুপুর তিনটের মধ্যে কলকাতা হাই কোর্টে ওই ২৫ জনের নিয়োগ সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য জমা দেওয়ার নির্দেশ দেয় কলকাতা হাই কোর্ট।
তবে দুপুর তিনটের পর পাওয়া তথ্যে উষ্মাপ্রকাশ করেন কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি। ওই ২৫ জন 'ভুয়ো' চাকরিরতের বেতন বন্ধের নির্দেশ দেয় কলকাতা হাই কোর্ট। 'ভুয়ো' চাকরিরতকে মামলার পক্ষভুক্ত করারও নির্দেশ দেন বিচারপতি। আগামিকাল দুপুর ২টোয় ফের এই মামলার শুনানি হবে।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন