ক্ষোভ-বিক্ষোভ থাকতেই পারে, তবে দলের বাইরে জানানোটা ঠিক নয়। বিজেপির হাওড়া জেলা সভাপতির মন্তব্যের পর এমনটাই বলেছিলেন বিজেপি সর্ব ভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ। একটি ভিডিয়োতে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেছিলেন বিজেপির হাওড়া জেলা সভাপতি সুরজিৎ সাহা। একদিকে বিজেপি নেতাদের বিরুদ্ধে কথা বলার এক্তিয়ার নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন তিনি। এর পাশাপাশি, নারদ-কাণ্ডের কথা মনে করিয়ে শুভেন্দুকে আক্রমণ করতে ছাড়েননি তিনি।
১৯ ডিসেম্বর হাওড়ায় পুরভোট। সেই নির্বাচন পরিচালনার জন্য বিজেপির তরফে একটি কমিটি তৈরি করে দেওয়া হয়। সেই কমিটি নিয়েই আপত্তি ছিল সুরজিৎ সাহার। তাঁর কথায়, "নির্বাচন কমিটি গঠনের জন্য মঙ্গলবার হাওড়া জেলার যে ২৩ জনকে ডাকা হয়েছিল, তাঁদের মধ্যে অধিকাংশই তৃণমূল থেকে আসা নেতা ছিল। তৃণমূলের বি টিমের অধীনে আমরা কাজ করব না।" নির্বাচন কমিটির চেয়ারম্যান করা হয়েছিল তৃণমূল থেকে আসা রথীন চক্রবর্তীকে। তিনি সময় দিতে পারবেন না বলে কো-চেয়ারম্যান করা হয়েছে তৃণমূল থেকে আসা আরেক নেতা সুপ্রীতি চট্টোপাধ্যায়কে। দলের এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছেন সুরজিৎবাবু। বলেন, "আমাকেও কো-চেয়ারম্যান করা হয়েছে। কিন্তু দলের নিয়ম অনুযায়ী জেলায় যে কোনও কমিটির মাথায় থাকেন জেলা সভাপতি। এক্ষেত্রে আমাকে সেই দায়িত্ব দেওয়া হয়নি। এভাবে দলের তৃণমূলীকরণ মানব না। নবগঠিত নির্বাচন কমিটিকেও মানব না।" যদিও হিষ্কারের পরও তিনি বিজেপির সঙ্গে থাকবেন বলে জানিয়েছেন সুরজিৎবাবু।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন