দীর্ঘ দিন পর রাজ্যে খুলেছে স্কুল। খুশি শিক্ষক ও পড়ুয়ারা। কিন্তু কোভিড-বিধির গেরোয় শিক্ষকরা মহাসঙ্কটে। স্কুলেও একগুচ্ছ নিয়ম মানতে হচ্ছে। আসুন দেখেনিন একনজরে।
১. দূরত্ববিধি মানতে গিয়ে একটি ক্লাসকে দু-টি বা তিনটি ব্যাচে ভাগ করা হয়েছে। অর্থাত্, আগে দুটো সেকশন থাকলে, এখন অন্তত চারটে সেকশন রয়েছে। কিন্তু শিক্ষক-সংখ্যা একই। ফলে বারবার একই ক্লাস নিতে হচ্ছে।
২. এক দিকে চলছে অফলাইন ক্লাস, এর পাশাপাশি পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণির অনলাইন ক্লাস চলছে। ফলে তৈরি হয়েছে আর এক সমস্যা। অফলাইন, অনলাইনে ক্লাস, দুটির পদ্ধতি আলাদা।
৩. ক্লাসের সঙ্গে ছাত্রছাত্রীর উপস্থিতির তালিকা তৈরি করতে হচ্ছে শিক্ষকদের। মিড ডে মিল দিতে হচ্ছে, তার হিসেব রাখতে হচ্ছে।
৪. শনিবারও গোটা দিন ধরে ক্লাস করাতে হচ্ছে। এতদিন পর স্কুল খুলেছে বলে নিছক ইচ্ছেশক্তির জোরেই চালিয়ে নিচ্ছেন শিক্ষকরা।
৫. সাড়ে ৯ টায় স্কুলে ঢুকতে হচ্ছে। যে সব শিক্ষক- শিক্ষিকারা দূরে থাকেন, তাঁদের রীতিমতো অসুবিধা হচ্ছে। পাশাপাশি এতদিন স্কুল বন্ধ থাকায় আপাতত ক্যান্টিন চালু হয়নি। ফলে প্রত্যন্ত অঞ্চলের স্কুলের শিক্ষকদের অসুবিধা হচ্ছে।
৬. কোভিড বিধির জন্য ২৫ পড়ুয়া পিছু একটি করে ব্যাচ তৈরি করা হয়েছে। বেশিরভাগ স্কুলে প্রতি ক্লাসে ন্যূনতম ২টি ব্যাচ। পড়ুয়া সংখ্যা বেশি হলে কোনও কোনও স্কুলে ৩টি ব্যাচও রয়েছে। ফলে একই বিষয় অন্তত দ্বিগুণ সময় ধরে পড়াতে হচ্ছে শিক্ষকদের।
৭. একসঙ্গে করতে হচ্ছে অনলাইনে মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক দেওয়া, খাতা দেখার কাজ।
৮. ২টো শিফটে হচ্ছে ক্লাস। নবম ও একাদশ শ্রেণির ক্লাস শুরু হচ্ছে ১০ টা থেকে আর দশম ও দ্বাদশ শ্রেণির ক্লাস শুরু হচ্ছে ১১ টা থেকে। এর ফলেও একটা সমস্যা তৈরি হচ্ছে।
৯. অনেক স্কুলেই শিক্ষক সংখ্যা কম। রয়েছে শূন্যপদ। সে সব স্কুলে শিক্ষকদের কার্যত নাজেহাল অবস্থা।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন