লোকসভা নির্বাচনের পরই ঘুরে দাঁড়াতে তৎপর হয়েছিল তৃণমূল নেতৃত্ব। সেই লক্ষ্যেই ভোট কুশলী হিসেবে আসরে নামানো হয় প্রশান্ত কিশোরকে। এরপর গত বিধানসভা নির্বাচনে ঘাসফুলের সাফল্যে সেই প্রশান্ত কিশোর তথা তাঁর সংস্থা আইপ্যাকের বড় অবদান ছিল বলেই মনে করেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
টুইটারে বলা হয়েছে, "তৃণমূল এবং আই-প্যাকের-এর মধ্যে মতামতের পার্থক্য বা কাজের সম্পর্ক নিয়ে নিখাদ অনুমানমূলক এবং ভুল প্রতিবেদনের কোনো গ্রহণ যোগ্যতা নেই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে, আমরা একটা দল হিসাবে কাজ করি এবং ভবিষ্যতেও একে অপরের সঙ্গে সহযোগিতা অব্যাহত রাখব।"
ওয়াকিবহাল মহলের মতে, দলের রাজ্যসভার সদস্য ডেরেক ও'ব্রায়েন গতকাল তৃণমূল এবং প্রশান্ত কিশোরের আই-প্যাকের মধ্যে মতপার্থক্যের ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, প্রশান্ত কিশোরের সংস্থা "তৃণমূলের থেকে আলাদা।" তৃণমূল ও প্রশান্ত কিশোরের আই-প্যাক এক নয়। তাঁর এই মন্তব্যের পরই অনেকে অনুমান করেন তৃণমূল হয়তো পিকে-র সঙ্গে দূরত্ব তৈরি করছে।
এর পাশাপাশি তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ আরও বলেছিলেন, আই-প্যাকের সরবরাহ করা তথ্যের কিছু অংশ নিয়েই তৃণমূল কংগ্রেস রাজনৈতিক ঘুঁটি সাজায়। কিন্তু আই-প্যাকের কোনো মতামত দলের মধ্যে প্রতিফলিত হয় না। দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে তৃণমূলের কার্যকরী কমিটিই এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়। ডেরেকের এই মন্তব্যের পরই তৃণমূল ও প্রশান্ত কিশোরের সম্পর্ক নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। অনেকেই তৃণমূল ও আই-প্যাকের মধ্যে ফাটল দেখা দিয়েছে বলেও মন্তব্য করেন।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন