স্কুল-ছুট ঠেকাতে টুয়েলভ অবধি মিড-ডে মিল?

 

করোনার কারণে রাজ্যে সহ গোটা দেশে বন্ধ ছিল প্রায় সমস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। করোনাকালীন সঙ্কটে স্কুল-ছুট ঠেকাতে নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণিতেও মিড ডে-মিল চালুর দাবিতে সরব হয়েছে রাজ্যের বিভিন্ন মানবাধিকার, স্বেচ্ছাসেবী এবং শিক্ষক সংগঠন।

এ নিয়ে বিভিন্ন স্তরে আলোচনা শুরু করেছে তারা। ইতিমধ্যে রাজ্য ও কেন্দ্রের শিক্ষাকর্তাদের কাছে এই মর্মে দাবিপত্র পেশ করা হয়েছে। ১০ ডিসেম্বর মানবাধিকার দিবসের আগে গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষা সমিতি বা এপিডিআর রাজ্যের স্কুল ও মাদ্রাসা-শিক্ষা দফতরের মন্ত্রী ও আধিকারিকদের কাছে দাবিসনদ পেশ করে আর্জি জানিয়েছে, মিড-ডে মিলের সুযোগ শুধু অষ্টম শ্রেণি অবধি সীমাবদ্ধ থাকা বাকি পড়ুয়াদের বঞ্চিত করারই সামিল। মানবিক নয়। এটা শুধু অতিমারীকালীন সঙ্কটের সময় বলে নয়, স্কুল-মাদ্রাসার প্রত্যেক ক্লাসে সব পড়ুয়ারই খাদ্যের নিরাপত্তা ও পুষ্টির দরকার আছে।  সংবিধান-স্বীকৃত জীবনের অধিকারের অন্যতম শর্তই খাদ্য নিরাপত্তা। এই ব্যাখ্যাতেই সুপ্রিম কোর্ট মিড-ডে মিল চালু করতে বলেছিল। নবম থেকে দ্বাদশের পড়ুয়াদের মিড-ডে মিলে বঞ্চিত করা শুধু অসমতাই নয়, এর ফলে অপুষ্টির শিকার হচ্ছে উঁচু ক্লাসের পড়ুয়ারা। স্কুল-মাদ্রাসায় ড্রপ আউট কমাতে ও সার্বিক ভাবে ছেলেমেয়েদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানমুখী করতে দুপুরের খাবারের প্রকল্প যে এ দেশে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছে, তা গত দু'দশকে একাধিক সমীক্ষায় সেই ছবি ধরা পড়েছে। পশ্চিমবঙ্গেও স্কুল-মাদ্রাসার বিপুল সংখ্যক পড়ুয়া খিদের যন্ত্রণা থেকে অনেকাংশে মুক্তি পেয়েছে। এখনকার পরিস্থিতিতে মিড-ডে মিল দ্বাদশ শ্রেণি অবধি সম্প্রসারিত করা প্রয়োজন বলে মনে করছেন অনেকেই।