নতুন দুশ্চিন্তার নাম করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন। এর কারণে দেশে বাড়তে শুরু করেছে আক্রান্তের সংখ্যা। স্বাভাবিক কারণেই নানা বিধিনিষেধ চালু করতে হচ্ছে বিভিন্ন রাজ্যে। ইতিমধ্যে রাজধানী দিল্লিতে স্কুল, কলেজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছ। পশ্চিমবঙ্গেও স্কুল কলেজ বন্ধ করার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে কিনা, তা খতিয়ে দেখতে নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
যে ভাবে করোনার তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে, তাতে স্কুল কলেজ খুলে রাখার সিদ্ধান্ত পুনরায় খতিয়ে দেখার নির্দেশ বুধবারই দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
তবে, স্কুল-কলেজ থেকে যে সংক্রমণ হচ্ছে, তাও স্পষ্ট করে দিয়েছেন তিনি। এই পরিস্থিতিতে স্কুলের জন্য আপাতত নির্দেশিকা জারি করল স্কুল শিক্ষা দফতর। ওমিক্রন আতঙ্কে এই প্রথম শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জন্য নির্দেশ জারি করল রাজ্য।
সেই নির্দেশিকা অনুযায়ী, কোন শিক্ষক শিক্ষিকা বা অশিক্ষক কর্মীদের সর্দি কাশি হলে তাঁকে স্কুলে আসতে হবে না। কোন রকম লক্ষণ তৈরি হলে সেই শিক্ষক শিক্ষিকা শিক্ষক কর্মীকে অবশ্যই করোনা টেস্ট করতে হবে। রিপোর্ট নেগেটিভ আসা পর্যন্ত তাঁকে স্কুলে আসতে দেওয়া যাবে না।
এছাড়াও ওই নির্দেশিকা অনুযায়ী, যদি কারোও রিপোর্ট পজিটিভ আসে, তিনি যে জায়গায় বসেন বা যে বিষয়গুলিকে স্পর্শ করছেন, সেগুলো স্যানিটাইজ কর তে হবে। তবে, স্কুল বন্ধ করার কোন প্রয়োজন নেই যদি না স্কুল থেকে কোন কোভিড সংক্রমণ হয়। এদিন এমনই নির্দেশিকা জারি করল স্কুল শিক্ষা দফতর। প্রত্যেকটি জেলার বিদ্যালয় পরিদর্শকদের এই নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন