শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে বার বার দুর্নীতির অভিযোগ সামনে এসেছে। প্রায় সাত বছরেও বেশি সময় আটকে আছে উচ্চ প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া। এর পাশাপাশি কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশের জেরে চাকরি হারালেন এক শিক্ষক। মুর্শিদাবাদের এক শিক্ষকের চাকরি বাতিল করল পশ্চিমবঙ্গ স্কুল সার্ভিস কমিশন। সাম্প্রতিক সময়ে এমন পদক্ষেপ অত্যন্ত বিরল। SSC-এর নবম-দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছিলেন প্রশান্ত দাস নামে এক ব্যক্তি।
ওই মামলাটি উঠেছিল বিচারপতি অমৃতা সিংহের সিঙ্গল বেঞ্চে। সম্প্রতি সেই মামলার শুনানিতে আদালতে এসএসসি জানায় যে, ওই নিয়োগে কিছু সমস্যা ছিল। এরপরই আদালতের তরফে প্রশ্ন তোলা হয়, নিয়োগে ভুল থাকলে কেন বেতন দেওয়া হচ্ছে ওই শিক্ষককে। এসএসসির তরফে জানানো হয়, মামলাটি বিচারাধীন বলে কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি। এই যুক্তিতে অসন্তুষ্ট হয় হাই কোর্ট। অবিলম্বে পদক্ষেপের নির্দেশ দেওয়া হয়। নভেম্বরের ২২ তারিখ মামলার শুনানি ছিল। কিন্তু পরে তা বাতিল হয়ে যায়। এরপরই কমিশনের তরফে চিঠি দিয়ে মামলাকারী প্রশান্ত দাসের আইনজীবী ফিরদৌস শামিমকে জানানো হয়েছে, নীলমণি বর্মনের চাকরি বাতিলের বিষয়টি। এবিষয়ে মামলাকারীর আইনজীবী বলেন, "এটা বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়, এরকম আরও অনেক ঘটনা রয়েছে। সব ক্ষেত্রেই অবিলম্বে পদক্ষেপ গ্রহণ প্রয়োজন।"
নিয়োগ দুর্নীতি প্রসঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "শিক্ষা দফতর বড় দফতর। কে কোথায় কী করে বেড়াচ্ছে, আর লোক ঢুকিয়ে বেড়াচ্ছে। অনেক কিছুই হচ্ছে।" রায়গঞ্জে দুই দিনাজপুরকে নিয়ে প্রশাসনিক বৈঠকে তাঁর মন্তব্য নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা। প্রশ্ন উঠেছে, তা হলে কি স্কুল সার্ভিস কমিশনের (এসএসসি) বিভিন্ন স্তরে নিয়োগ নিয়ে যে অস্বচ্ছতার ভিযোগ উঠেছে, ঘুরিয়ে সেই প্রসঙ্গেই মন্তব্য করলেন মুখ্যমন্ত্রী?মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যে অনিয়মের যে ইঙ্গিত রয়েছে সে সম্পর্কে তাঁর আমলের দায় এড়িয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। তিনি বলেন, "মুখ্যমন্ত্রীর কথায় অবশ্যই সারবত্তা আছে। জেলায় অতীতে যদি কিছু হয়ে থাকে আমরা যথাবিহিত ব্যবস্থা নেব।" অন্যদিকে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন,"মুখ্যমন্ত্রী কোন প্রেক্ষিতে এ কথা বলেছেন, তা না জেনে কিছু বলতে পারব না। তবে শিক্ষা দফতর নিশ্চিত ভাবে বড় দফতর। সমস্ত খুঁটিনাটি সবসময় সকলের নজরে আসে না।"
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন