এবার খাস কলকাতায় ওমিক্রন আতঙ্ক। দুজন বিদেশ ফেরত করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট আক্রান্ত হয়েছেন বলে স্বাস্থ্যদফতর সূত্রে খবর পাওয়া গিয়েছে। দিন কয়েক আগে একজন নাইজেরিয়া থেকে এবং অন্যজন লন্ডন থেকে দিল্লি হয়ে কলকাতায় ফিরেছিলেন। রাজ্যে ফেরার পর দুজনই কোভিড পজিটিভ হওয়ায় তাঁদের নমুনা জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ে পাঠানো হয়। সেই রিপোর্টই আসে বুধবার রাতে।
স্বাস্থ্যদফতর সূত্রে খবর, গত ১৫ দিনে বিদেশ ফেরত ৮ জনের নমুনা কল্যাণীর জিনোম সিকোয়েন্সিং সেন্টারে পাঠানো হয়েছেপ। তাদের মধ্যে তিনটি রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। দুজনের রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। বাকিদের রিপোর্টের অপেক্ষায় গোটা রাজ্য। আপাতত উৎসবের মরশুমেই ওমিক্রন আতঙ্কে ত্রস্ত রাজ্যবাসী।
এদিকে, ফের করোনা আতঙ্ক। মহামারী পর্ব কাটিয়ে স্কুল খোলার পর বড়সড় বিপদ। এবার নদীয়ার কল্যাণীর স্কুলে একইসঙ্গে ২৯ জন পড়ুয়া করোনা আক্রান্ত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এমন খবরে কল্যাণীতে হইচই পড়ে গিয়েছে। করোনা মহামারীর জন্য দীর্ঘদিন বন্ধ ছিল রাজ্যের সমস্ত শিকশা প্রতিষ্ঠান। প্রশাসন মহামারীর মাঝে স্কুল খুলে কোনও ঝুঁকি নিতে চায়নি। তবে পড়ুয়াদের মাথায় চিন্তার শেষ ছিল না। পরীক্ষা, ভবিষ্যৎ চিন্তায় জেরবার ছিল পড়ুয়ারাত। তবে প্রশাসনের আশঙ্কা ছিল, করোনার দাপাদাপি কমার আগে স্কুল খুললে বড় বিপদ হতে পারে। এর ফলে দেশে ও রাজ্যে করোনার দাপট কিছুটা থিতিয়ে যাওয়ার পরই স্কুল খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল প্রশাসন। কিন্তু তাতেও বিপদ এড়ানো গেল না। রাজ্য সরকার জানুয়ারি মাস থেকে প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত পড়ুয়াদের স্কুলমুখো করার চিন্তা-ভাবনা শুরু করেছে। কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ের ঘটনা নতুন করে ভাবতে বসাতে পারে রাজ্য প্রশাসনকে।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন