এবারের বিধানসভা নির্বাচনে বড় সাফল্য পেয়েছে শাসক দল তৃণমূল। মূলত এই কারণে দলের অন্দরে গুরুত্ব বেড়েছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তাঁকে যুব তৃণমূলের সভাপতির পদ থেকে প্রোমোশন দিয়ে জাতীয় সাধারণ সম্পাদক করেছে দল। খাতায় কলমে না হলেও তিনিই এখন তৃণমূল কংগ্রেসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডেপুটি। কিন্তু তার পরও তাঁর নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন একাধিক তৃণমূল নেতা। প্রকাশ্যেই এই নিয়ে তোপ দেগেছেন শ্রীরামপুরের সাংসদ তৃণমূলের কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়।
বলে রাখা ভাল, গত নভেম্বরে কালীঘাটে মমতার বাড়িতে তৃণমূলের ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক হয়েছিল। সেই বৈঠক থেকে বেরিয়ে দলের এক সাংসদ জানিয়েছিলেন যে তৃণমূল এবার জাতীয়স্তরে সংগঠন বৃদ্ধির চেষ্টা করছে। সেই লক্ষ্যকে সামনে রেখে এবার দলের সংবিধানে বদল করা হবে। সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, তৃণমূল কংগ্রেসের সেই সংবিধান বদলের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। সেই বদলের খসড়া তৈরি করছে প্রশান্ত কিশোরের সংস্থা আইপ্যাক। সেই খসড়া অনুযায়ী, চেয়ারপার্সন পদে কোনও নতুন নিয়ম আসছে না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেমন চেয়ারপার্সন আছেন, তেমনই থাকতে পারবেন আজীবন। কিন্তু তাঁর প্রশাসনিক কাজকর্ম ও অন্যান্য ব্যস্ততার কারণে দলের সাংগঠনিক বিষয় সামলানোর জন্য তৈরি করা হচ্ছে জাতীয় কার্যনির্বাহী সভাপতি পদ। যিনি পাঁচ বছরের জন্য নির্বাচিত হয়ে আসবেন। তৃণমূল কংগ্রেসের কেউই এই বিষয়ে মুখ খুলতে নারাজ। তবে দলের একটি সূত্রের দাবি, এই পদে অভিষেক যে 'অটোমেটিক চয়েস' হবেন, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। কারণ, গত কয়েক মাসে জাতীয় স্তরে তৃণমূল সংগঠন বৃদ্ধির দায়িত্ব একাই সামলাচ্ছেন অভিষেক। তাঁর হাত ধরেই বিরোধী রাজনৈতিক দল থেকে তৃণমূলে যোগদান করছেন একাধিক নেতা। সংগঠনের রাশও এখন তাঁরই হাতে।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন