উত্তরপত্রে ভুল। আর এই নিয়ে বিতর্ক। স্কুল সার্ভিস কমিশনের সেই ভুলের কারণে নম্বর কাটা গিয়েছিল ২০১৬ সালের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের ইতিহাসের শিক্ষক পদের চাকরিপ্রার্থীদের। ইতিমধ্যে নিজেদের ভুল স্বীকার করেনিয়েছে কমিশন। তাই কমিশনকে সঠিক উত্তরদাতাদের নম্বর বাড়ানোর নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। আজ, শুক্রবার বিচারপতি অমৃতা সিনহা এই নির্দেশ দেন বলে আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে।
স্কুল সার্ভিস কমিশনের ২০১৬ সালের পরীক্ষার ভিত্তিতে মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিকের ইতিহাসের শিক্ষক নিয়োগ করা হয়। স্কুল সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমে এসএলএসটি পরীক্ষা হয়েছিল সেইবছরের ২৭ নভেম্বর। পরীক্ষার ফলাফল বেরোয় ডিসেম্বরে। এরপর ইতিহাস বিষয়ে মডেল উত্তরপত্র প্রকাশ করে এসএসসি। তাতে দেখা যায় একটি প্রশ্নের উত্তর ভুল রয়েছে। এর ফলে যাঁরা ওই প্রশ্নে সঠিক উত্তর লিখেছিলেন তাঁদের নম্বর কাটা যায়। বিষয়টি মেনে নিয়ে পরে একটি রিভাইসড উওরপত্র প্রকাশ করেছিল কমিশন। বিষয়টি অনেকের চোখ এড়িয়ে গিয়েছিল। তবে পরে চাকরিপ্রার্থীরা জানতে পারেন, সঠিক উত্তর দিয়েও শুধুমাত্র স্কুল সার্ভিস কমিশনের ভুলের জন্য তাঁরা এক নম্বর পাননি। এর পরে চাকরিপ্রার্থীরা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। চলতি বছরে মামলাকারীদের পক্ষ থেকে স্কুল সার্ভিস কমিশনের কাছে লিখিত অভিযোগ করা হয়। তাঁদের দাবি, স্কুল সার্ভিস কমিশন ১ নম্বর যোগ করলে এবং তা মেধাতালিকায় নথিভুক্ত হলে অনেকেই নিয়োগপত্র পেতে পারেন। কিন্তু কমিশন সেই আবেদন গ্রাহ্য করেনি বলে অভিযোগ এনে কলকাতা হাইকোর্টের শরণাপন্ন হন তাঁরা। শুক্রবার বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে মামলার শুনানি চলাকালীন মামলাকারীদের পক্ষের আইনজীবী আশিস কুমার চৌধুরী বলেন, স্কুল সার্ভিস কমিশনের পরীক্ষায় সঠিক উত্তর দিয়েছেন চাকরিপ্রার্থীরা। তা সত্ত্বেও নম্বর দেওয়া হয়নি। আবার কমিশনের পক্ষের আইনজীবী জানান, এসএসসির উত্তরপত্রে ভুল ছিল। তবে সেটা অনিচ্ছাকৃত ভুল। মামলাকারীরা যদি সঠিক উত্তর দিয়ে থাকেন তাহলে প্রাপ্ত নম্বর অবশ্যই পাবেন। এরপর উত্তর পত্র যাচাই করে মামলাকারীদের জানাতে স্কুল সার্ভিস কমিশনের সেক্রেটারিকে নির্দেশ দেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। সঠিক উত্তর দিয়ে থাকলে নম্বর বাড়ানোর নির্দেশ দেন তিনি। আর আদালতের এমন নির্দেশে খুশি অনেক হবু শিক্ষক।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন