স্কুল সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমে উচ্চ প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের জটিলতা দীর্ঘ সময় পরে কাটতে চলেছে। এর ফলে ভাগ্য খুলতে পারে বহু পরীক্ষার্থীর। বিকাশ ভবন সূত্রে এমন খবর পাওয়া গিয়েছে। ফেব্রুয়ারি মাসে আদালতের নির্দেশ মাফিক পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষক নিয়োগের সম্ভাব্য মেধা তালিকা কলকাতা হাইকোর্টে জমা দিতে পারে কমিশন। জোরকদমে তার প্রস্তুতি চলছে।
কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, যেসকল প্রার্থী শুনানিতে অনুপস্থিত ছিলেন, স্বাভাবিক ভাবেই তাঁদের রিজন অডারে গরহাজির লেখা থাকছে। শিক্ষকতার প্রশিক্ষণহীন প্রার্থীদের রিজন অর্ডারে ২০১৬ সালের ২৪ অক্টোবর পর্যন্ত সময়কে মান্যতা দেওয়া হয়েছে। কোনও রিজন অডারে গ্রহণযােগ্য নয় লেখা এবং কোনও কোনও রিজন অডারের বিষয়ে ক্যাটাগরি শূন্যপদে প্রশিক্ষিত প্রার্থী নিইয়োগপত্র দেওয়ার পরও শূন্যপদ থাকলে, ওই বছরের ২৩ সেপ্টেম্বরের গেজেট বিধি মেনে বিবেচনা করা হবে বলেই জানান হয়েছে। তবে আদালতে ইতিমধ্যে প্রকাশ করা কাট অফ মার্কসের নীচে থাকা প্রার্থীদের রিজন অর্ডারে প্রার্থীর স্কোর ও কাট অফ স্কোর উল্লেখ করে তাঁর আবেদন এই মুহুর্তে বিবেচনা করা হচ্ছে না বলেও জানান হয়েছে। কোনও কোনও রিজিন অডারে আবেদন খারিজ বলেও লেখা থাকছে।
যে সকল প্রার্থীর গ্রিভ্যান্স তথ্য ভেরিফিকেশন করার পরবর্তীতে কাট অফের ওপরে স্কোর ধাৰ্য্য হচ্ছে, তাঁদের লেখা থাকছে কোয়ালিফায়েড বা উত্তীর্ণ বলে। এক ইন্টারভিউয়ে ডাক না পাওয়া এক প্রার্থীর অভিযোগে শুনানির আগে তালিকা নাম ছিল না। স্নাতকে তাঁর ১৮ পাওয়ার কথা থাকলেও কমিশনে আগে তাকে ১৬ দিয়েছিল। কিন্তু রিজনড হিয়ারিং-র পর তাঁর প্রাপ্য ২ নম্বর দেওয়া হয়। তাতে সে কাট অফ স্কোরের উপর চলে গিয়েছে। তাঁকে গ্রিভ্যান্স রিজন অডার শিটে কোয়ালিফায়েড বা উত্তীর্ণ লেখা হয়েছে।
যদিও এর সংখ্যা একেবারেই কম।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন