নবম-দশমের শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি মামলায় সিবিআই অনুসন্ধানে স্থগিতাদেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। সিবিআই অনুসন্ধানে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিল আদালত। ২৮ ফেব্রয়ারি সিবিআই অনুসন্ধানের নির্দেশ দিয়েছিল সিঙ্গল বেঞ্চ। সিবিআই অনুসন্ধানের নির্দেশ চ্যালেঞ্জ করে মামলা করে রাজ্য সরকার। সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশের উপর ২ সপ্তাহ স্থগিতাদেশ দিল হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। ১৪ মার্চ নবম-দশমে শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি মামলার ফের শুনানি।
উল্লেখ্য, শিক্ষক নিয়োগ মামলায় সিবিআই অনুসন্ধানের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে গতকাল ডিভিশন বেঞ্চে আপিল করল রাজ্য। আজ সকালে রাজ্যের তরফে বিচারপতি সৌমেন সেন ও বিচারপতি অজয়কুমার মুখোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলা হয়, সোমবার বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত মামলায় সিবিআই অনুসন্ধানের নির্দেশ দিয়েছেন। কিন্তু সেখানে রাজ্যকে তাদের বক্তব্য জানানোর কোনও সুযোগই দেওয়া হয়নি। রাজ্যের কী বক্তব্য তা না জেনেই বিচারপতি একতরফাভাবে সিবিআই অনুসন্ধানের নির্দেশ দিয়েছেন।বিচারপতি সৌমেন সেনের ডিভিশন বেঞ্চ মামলা দায়ের করার অনুমতি দিয়েছে। রাজ্যের তরফে জরুরি ভিত্তিতে এই মামলার শুনানির আবেদনও জানান হয়। সম্ভবত আগামীকাল এই মামলার শুনানি হবে ডিভিশন বেঞ্চে।
প্রসঙ্গত, এসএসসি নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে মামলা উঠেছে কলকাতা হাইকোর্টে। ২০১৬ সালে শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে বেনিয়ম-সহ আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। অভিযোগ, মেধা তালিকায় নেই এমন পরীক্ষার্থীদেরও চাকরি হয়েছে। এর পাশাপাশি, মেধা তালিকায় নেই এমন লোকের জন্য সুপারিশ করা হয়েছে বলে অভিযোগ সামনে এসেছে। এরকম একটি মামলায় এসএসসির প্রাক্তন চেয়ারম্যানের কথা শুনে বিস্মিত কলকাতা হাইকোর্ট।
এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতির একটি মামলায় অভিযোগ উঠেছে, চাকরির জন্য সুপারিশ করেছেন এসএসসির চেয়ারম্যান। সেই মামলায় আজ এসএসসির প্রাক্তন চেয়ারম্যান আদালতে দাঁড়িয়ে বলেন, 'ছুটিতে ছিলাম।
ওই কথা শোনার পর বিস্মিত বিচারপতির প্রশ্ন, তাহলে সাক্ষর করলেন কে? কারা নিয়োগের সুপারিশ পাঠাতো? ওইসব প্রশ্নের উত্তর জানতে কমিশনের সদ্য প্রাক্তন পরামর্শদাতা ও প্রোগ্রাম ইনচার্জকে তলব করল হাইকোর্ট। আগামী ২ মার্চ তাদের হাজিরা দিতে হবে।
অভিযোগ উঠেছে, মেধা তালিতায় নাম থাকার পরও শেষপর্যন্ত সেই নাম চলে গিয়েছে ওয়েটিং লিস্টে। মাঝখান থেকে চাকরি হয়েছে মেধাতালিকায় নাম নেই এমনসব লোকজনের। এনিয়ে আদালতের প্রশ্ন, মেধাতালিকায় পেছনের দিকে নাম রয়েছে। তারপরেও একজনের জন্য কমিশন তার নাম দুবার সুপারিশ করে। ব্লু আইড বয় নাকি...
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন