ঘণ্টায় ১৫০ কিমি বেগে হাড়হিম করবে ঘূর্ণিঝড় অশনি; দক্ষিণবঙ্গেও এর প্রভাব পড়বে

বঙ্গোপসাগরে শক্তি বাড়িয়ে গভীর নিম্নচাপ ভয়ঙ্কর ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে। সম্ভবত দোলের পরেই আছড়ে পড়তে চলেছে এ বছরের প্রথম ঘূর্ণিঝড়। গতবার এপ্রিল পর্যন্ত কোনও ঘূর্ণিঝড়ের সম্ভাবনা ছিল না। এবার চোখ পাকাচ্ছে ঘূর্ণিঝড় অশনি। এই ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ করেছে শ্রীলঙ্কা। তবে এই ঘূর্ণিঝড়ের দরুন স্থলভাগে এখনও বিরাট কোনও ক্ষয়-ক্ষতির আশঙ্কার খবর নেই। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের এক অধিকর্তা সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় বুধবার জানিছেন যে, দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ১৫ মার্চ একটি নিম্নচাপ (Cyclone Update Bengal) তৈরি হয়েছে (Cyclone Ashani)।যা ত্রমেই উপরসাগর অঞ্চলে আন্দামানের কাছাকাছি এসে শক্তি সঞ্চয় করবে। পরে ১৯ মার্চ এই নিম্নচাপটি দক্ষিণ ও পূর্ব বঙ্গোপসাগর এবং দক্ষিণ আন্দামান সাগরে এটি স্পষ্ট নিম্নচাপে পরিণত হবে।

নিম্নচাপটি ক্রমেই উত্তর পশ্চিম দিকে অগ্রসর হবে রবিবার। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস বলছে সোমবার অর্থাৎ ২১ মার্চ, ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে এই গভীর নিম্নচাপ। প্রাথমিকভাবে ঘূর্ণিঝড়টি উত্তর পশ্চিম মুখী হয়ে এগোবে। পরে উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে বাঁক নিতে পারে বলে পূর্বভাস। আগামী বুধবার ঘূর্ণিঝড়টি বাংলাদেশ ও মায়ানমার উপকূলের স্থলভাগের প্রবেশ করতে পারে। অশনির প্রভাবে কী পশ্চিমবঙ্গের আবহাওয়া বদলাবে? এখনও পর্যন্ত আবাহওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, ঘূর্ণিঝড়টি বাংলাদেশ ও মায়ানমারের দিকে এগোনোয় প্রচুর জলীয় বাষ্প বাংলার উপকূলীয় জেলাগুলোতে ঢুকতে পারে। তার জেরেই কিছুটা বদলাতে পারে আবহাওয়া। অতএব, এই ঘূর্ণিঝড়ের সরাসরি প্রভাব আমাদের রাজ্যে না পড়লেও এর ফলে প্রচুর জলীয় বাষ্প যুক্ত পারে দক্ষিণবঙ্গের উপকূলীয় জেলাগুলোতে।