স্কুল সার্ভিস কমিশনের বিরুদ্ধে অভিযোগের শেষ নেই। নবম-দশমে পরীক্ষায় অসফল হয়ে চাকরি পাওয়ার অভিযোগ আগে অনেকবার সামনে এসেছে। এ বার যুক্ত হল নিয়োগ তালিকার মেয়াদ শেষের পর নিয়োগ সুপারিশ পত্র দেওয়ার। এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এল মঙ্গলবার।
বিচারপতির প্রথম প্রশ্ন, কত টাকা দিয়ে চাকরি কিনলেন? কে চাকরি বিক্রি করল আপনাকে? আরটিআই কি চাকরি দেয়? গুরুপদ ঘড়াই না ঘাবড়িয়ে উত্তর দিলেন, পরীক্ষা ভাল দিয়েছিলাম। এটাই শেষ এসএসসি ছিল আমার। একাই ঘোরাঘুরি করি চাকরির জন্য। আরটিআইয়ের পর নম্বর বাড়ে। এসএসসি ডেকে চাকরির সুপারিশ পত্র দেয়। নিশ্চয়ই আমার নাম চাকরির জন্য এসেছিল, তাই চাকরি দিয়েছে। মেধাতালিকায় নাম ছিল কিনা সেটা আমার জানা নেই।
এমন উত্তর শুনে কড়া ধমক দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি বলেন, আপনাকে ডিআইজি সিআইডি-এর হাতে তুলে দেব। আপনাকে অ্যান্টি রাইডিং সেকশনের অফিসারদের কাছে পাঠাবো। কালই পাঠাবো।
স্কুল সার্ভিস কমিশন আদালতে জানায়, ১৯-১২-২০১৯ নিয়োগ তালিকার মেয়াদ শেষ হয়েছে। আইনজীবী ফিরদৌস শামিম জানান, আদালত বিষয়টি রেকর্ড রাখুক। নবম-দশম শ্রেনীর শিক্ষক নিয়োগ তালিকা মেয়াদ শেষের ঠিক পরের দিন, ২০-১২-২০১৯ ইন্টারভিউ এবং ওইদিনই নিয়োগ সুপারিশ পত্র গুরুপদ ঘড়াইকে দেয় এসএসসি। সেই কারণেই বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়, প্রাথমিক তথ্যের ভিত্তিতে, গুরুপদ ঘড়াইয়ের নিয়োগ বেআইনি ভাবে হওয়ায় মুর্শিদাবাদের ডিআই'কে বেতন বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন। বুধবার দুপুর দুটোয় ফের ভুয়ো নিয়োগে অভিযুক্ত কে এজলাসে উপস্থিত হতে নির্দেশ দিয়েছেন বলে আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন