নদিয়ার হাঁসখালিতে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় সিবিআই তদন্তের আর্জিতে কলকাতা হাইকোর্টে দায়ের হল জনস্বার্থ মামলা। মামলাকারী আইনজীবী অনিন্দ্যসুন্দর দাসের তরফে আজ প্রধান বিচারপতির দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে প্রধান বিচারপতি মামলা দায়ের করার অনুমতি দিয়েছেন। আগামিকাল জরুরি ভিত্তিতে এই মামলার শুনানি হতে পারে।
প্রসঙ্গত, ফের ধর্ষণের ঘটনা রাজ্যে। অত্যাচারের জেরে মৃত্যু হয়েছে নাবালিকার। এমনটাই অভিযোগ। এই ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার হাঁসখালিতে। নাবালিকার মৃত্যুর পর ভয়ে পুলিশে কিছু না জানিয়েই দেহ দাহ করে দেয় পরিবারের সদস্যরা।পরে ভয় কাটিয়ে পুলিশের দ্বারস্থ নাবালিকার বাড়ির লোকজন। তাঁদের অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্তকে আটক করেছে পুলিশ।
এই ঘটনার সূত্রপাত গত সোমবার। ওইদিন নদিয়ার হাঁসখালির গ্যাড়াপোতা এলাকার পঞ্চায়েত সদস্যের ছেলে সোহেল গোয়ালির জন্মদিন ছিল। সেখানে নিমন্ত্রিত ছিল মৃতা অর্থাৎ যুবকের প্রেমিকা। স্বাভাবিকভাবেই নাবালিকা গিয়েছিল সেখানে। অনেক রাতে অপরিচিত এক মহিলা নাবালিকাকে বাড়িতে দিয়ে আসে। সেই সময় অসুস্থ ছিল পড়ুয়া। রাতে অসুস্থতা আরও বাড়ে। শুরু হয় রক্তক্ষরণ। ভোরের দিকে নাবালিকার জন্য স্থানীয় চিকিৎসকের কাছে ওষুধ আনতে যান পরিবারের সদস্যরা। ফিরে এসে দেখেন নাবালিকার মৃত্যু হয়েছে। বিষয়টি এলাকার বিশেষ কাউকে জানায়নি পরিবারের সদস্যরা। মঙ্গলবার ভোরের দিকে শ্মশানে দাহ করা হয় নাবালিকার দেহ। এরপর ৯ এপ্রিল হাঁসখালি থানায় যান মৃতার বাড়ির সদস্যরা। তাঁরা জানান, জন্মদিনের পার্টির নামে ডেকে নিয়ে গিয়ে নাবালিকাকে ধর্ষণ করে প্রেমিক সোহেল গোয়ালি অর্থাৎ তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যের ছেলে। এরপর মৃতার পরিবারকে ভয়ও দেখানো হয় বলে অভিযোগ। সেই কারণেই পুলিশে খবর না দিয়ে নাবালিকার দেহ দাহ করে দেওয়া হয়। ঘটনা জানাজানি হতেই চাইল্ড লাইনে খবর যায়। ইতিমধ্যেই তৃণমূল নেতার ছেলেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন