রাজ্যের সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত ও পোষিত স্কুলে প্রধান শিক্ষক নিয়োগের বিধিতে আমূল বদল হচ্ছে। এ বারই প্রথম সংরক্ষণ ভিত্তিক শূন্যপদের নিরিখে নিয়োগ হবে এই পদে। আবার এত দিন প্রধান শিক্ষক পদে কিছু ক্ষেত্রে আঞ্চলিক পর্যায়ে নিয়োগের কথা বলা ছিল বিধিতে। সেটাও এবার বদল হচ্ছে। এখন থেকে স্টেট লেভেল বা রাজ্যস্তরে প্রধান শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে সরকার। প্রধান শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে স্কুল বাছাইয়ে কাউন্সেলিংয়ের জন্য একবারই সুযোগ পাবেন প্রার্থীরা। কেউ সেই কাউন্সেলিংয়ে গরহাজির হলে বা স্কুল নিতে অস্বীকার করলে, তিনি নিয়োগের মেধাতালিকা থেকে বাদ পড়বেন।
প্রসঙ্গত, শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে আন্দোলন এবং মামলার মধ্যেই ভাল খবর চাকরি প্রার্থীদের জন্য। স্কুল সার্ভিস কমিশনের তরফে এই খবর জানিয়ে একটি আগাম নোটিশ জারি করা হয়েছে বৃহস্পতিবার সকালে।
এর ফলে প্রায় ৬ বছর পর রাজ্যের মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকে শিক্ষক নিয়োগের কথা বিজ্ঞপ্তি দিয়েছিল SSC। দুপুর গড়াতেই আরেক সুখবর মিলল। দীর্ঘ আন্দোলনের সুফল পেলেন কর্মশিক্ষা ও শারীরশিক্ষা ক্ষেত্রে চাকরিপ্রার্থীরা। তাঁদের নিয়োগের জন্য অতিরিক্ত মোট ১৬০০ টি পদ তৈরিতে অনুমোদন দিল রাজ্য মন্ত্রিসভা। কর্মশিক্ষায় ৭৫০ ও শারীরশিক্ষায় ৮৫০ নতুন পদে নিয়োগ করা হবে যোগ্য প্রার্থীদের। বৃহস্পতিবার নবান্নে মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর একথা জানালেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু।
শিক্ষামন্ত্রী এদিন বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা করেছেন। উল্লেখযোগ্য, এসএসসি’র (SSC) মাধ্যমে মোট ৫২৬১ শিক্ষ নিয়োগ হবে। এছাড়া ২০১৬ সালে যে নিয়োগ পরীক্ষা হয়েছিল, সেই মেধাতালিকার ভিত্তিতে নিয়োগ করা হবে। এই পদের মেয়াদবৃদ্ধি করা হয়েছে ২০২২ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। তিনি জানান, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে এসব নতুন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পুজোর আগেই সমস্ত নিয়োগ সম্পূর্ণ করা হবে। লক্ষ্য, জুন মাসের মধ্যে প্রক্রিয়া শুরু করা। এমনই জানালেন ব্রাত্য বসু।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন