ফের নিয়োগ ঘিরে বিতর্ক। ২০১৬ সালের স্কুল সার্ভিস কমিশনের নবম-দশমের পরীক্ষায় প্রার্থীদের প্রাপ্ত নম্বরের বিভাজন ১০ দিনের মধ্যে প্রকাশ করার নির্দেশ দিল আদালত। এর পাশাপাশি আগামী ১৭ জুন পর্যন্ত সমস্ত নিয়োগ বন্ধ রাখার নির্দেশ হাইকোর্টের। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এমন নির্দেশ দিয়েছেন বলে আদালত সূত্রে এমন খবর জানা গিয়েছে।
মেধাতালিকা ও ওয়েটিং লিস্ট মিলে প্রায় ২০ হাজারের মতো চাকরিপ্রার্থী ছিলেন। কিন্তু চাকরিতে যারা নিযুক্ত হয়েছেন এবং যারা অকৃতকার্য হয়েছেন কারও নম্বর (শিক্ষাগত যোগ্যতায় প্রাপ্ত নম্বর এবং স্কুল সার্ভিস কমিশনের পরীক্ষা ও ইন্টারভিউতে প্রাপ্ত নম্বর) প্রকাশ করা হয়নি।
অনিন্দিতা বিশ্বাস-সহ একাধিক প্রার্থীর অভিযোগ, ২০১৬ সালে নবম-দশমে মেধা তালিকা প্রকাশ হলেও প্রকাশ করা হয়নি কোনও নম্বর। মামলাকারীদের আরও অভিযোগ নম্বর কম পেয়েও চাকরি দেওয়া হয়েছে অনেককে। মামলার শুনানিতে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় জানতে চান, লিস্টে কীভাবে নামের বিন্যাস করা হয়। মামলাকারীদের তরফে আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, "কীভাবে মেধা তালিকা তৈরি হয় সেটা জানার জন্য নম্বর সামনে আসা প্রয়োজন।"
যদিও স্কুল সার্ভিস কমিশনের তরফে আইনজীবী কিশোর দত্ত বলেন, "মামলাকারীরা মেধাবী হতে পারেন। কিন্তু সুযোগ পাননি বলে এখন মামলাকারীরা সুযোগ নিতে চাইছেন। একটা নির্দেশ বার করে নেওয়ার জন্য মামলা করেছেন।"
সব পক্ষের বক্তব্য শোনার পর বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, "সমস্ত সরকারি কাজে স্বচ্ছতা রাখা দরকার। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা থাকা দরকার।" স্বচ্ছতার ব্যাপারে স্কুল সার্ভিস কমিশনের আইনজীবী কিশোর দত্ত কমিশনের তরফে হলফনামা দেওয়ার আর্জি জানিয়েছিলেন। কিন্তু তা প্রত্যাখ্যান করেন বিচারপতি। এই মামলার পরবর্তী শুনানি ২১ জুন।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন