প্রভাবশালীদের নাম জানতে চায় সিবিআই; মানিক ভট্টাচার্যের বয়ান রেকর্ড; খুশি নয় সিবিআই

প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য এবং প্রাইমারি বোর্ডের তৎকালীন সচিব রত্না চক্রবর্তী বাগচীকে গতকাল প্রায় ৪ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করলেন সিবিআই আধিকারিকরা। তবে জেরার পর তাঁরা সন্তুষ্ট নন বলে সিবিআই সূত্রে খবর পাওয়া গিয়েছে। নিজাম প্যালেস সূত্রে খবর, তাঁদের বয়ান রেকর্ড করা হয়েছে। কিন্তু তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করে আপাতত খুশি নন সিবিআইয়ের গোয়েন্দারা।

কোন কোন প্রভাবশালীর মধ্যে এই চাকরির নিয়োগ হয়েছিল, তা জানতে চান সিবিআইয়ের গোয়েন্দারা। কিন্তু জবাবে সে ভাবে কোনও উত্তর মেলেনি। সোমবার ২০১৪ সালের টেট দুর্নীতি মামলায় কলকাতা হাইকোর্ট ২৬৯ জনকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। যাঁদের চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে তাঁরা যেন মঙ্গলবার থেকে কাজে যোগ দিতে না পারেন, তা নিশ্চিত করতে বলেছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। 

প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালে যে টেট পরীক্ষা হয়েছিল তাতে ২৩ লক্ষ চাকরিপ্রার্থী পরীক্ষা দিয়েছিলেন। এর পরে ২০১৭ সালে প্যানেল প্রকাশিত করা হয়। অভিযোগ, ২০১৭ সালে ওই প্যানেলের এক বছর পর আরও একটি প্যানেল প্রকাশ করা হয়েছিল। এই নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। যদিও এই বিষয়ে প্রাইমারি বোর্ডের বক্তব্য ছিল যে, পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে একটি ভুল ছিল। মূলত সেই কারণে উত্তরপত্রে এক নম্বর করে বাড়ানো হয়েছে। আর তার জন্যই তৃতীয় প্যানেল বার করা হয়। তবে গোটা ব্যাপারটায় দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ করে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন মামলাকারীরা।