এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতিতে তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মতো 'রাঘব বোয়াল' ইতিমধ্যেই গ্রেফতার হয়েছেন। অভিযোগ উঠছে, রাজ্যের শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ার সর্বস্তরে দুর্নীতি হয়েছে। প্রাথমিক, উচ্চ প্রাথমিক এমনকী অশিক্ষক কর্মচারি নিয়োগের ক্ষেত্রেও নাকি দুর্নীতি হয়েছে। চলুন গোড়া থেকে দেখে নেওয়া যাক এই SSC নিয়োগ দুর্নীতি কী?
২০১৪ SLST-র মাধ্যমে স্কুলে শিক্ষক নিয়োগের বিবৃতি। ২০১৬ সালে শুরু হয় ওই নিয়োগ প্রক্রিয়া। অভিযোগ ওই নিয়োগে ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে। এমন অনেকে চাকরি পেয়েছেন যাদের নাম মেধা তালিকায় ছিলই না। এই মামলাতেই অভিযুক্ত ছিলেন রাজ্যের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারী। দ্বিতীয় মামলা অশিক্ষক কর্মী নিয়োগ নিয়ে।
২০১৬ সালে রাজ্যে ১৩ হাজার অশিক্ষক কর্মী নিয়োগের বিবৃতি দেয় SSC। এই সংক্রান্ত প্যানেলের মেয়াদ শেষ হয়ে যায় ২০১৯ সালে।
অভিযোগ এমন বহু পরীক্ষার্থীকে চাকরি দেওয়া হয়েছে যারা সাদা খাতা জমা দিয়েছেন, বা শুধু নাম লিখে জমা দিয়েছেন। এই নিয়োগ প্রক্রিয়া পর্যবেক্ষণ করার জন্য আলাদা একটি উপদেষ্টা কমিশন তৈরি করা হয়। অভিযোগ সেই উপদেষ্টা কমিটিও নাকি এই নিয়োগ দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত। এই অভিযোগে ২৬৯ জনকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করার নির্দেশ দেয় কলকাতা হাই কোর্ট আরেকটি মামলায় বলা হয়েছে ২০১৪ সালের টেট পরীক্ষায় ভুল প্রশ্ন করা হয়েছিল। সেই ভুল প্রশ্নের ভিত্তিতেই নির্দিষ্ট কিছু পরীক্ষার্থীকে নম্বর দিয়ে চাকরি দেওয়া হয়েছে।
এই মামলাগুলির আলাদা আলাদা করে সিবিআই এবং ইডি তদন্ত করছে। রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী, প্রাক্তন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী, প্রাক্তন শিক্ষা সচিব, মধ্যশিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি সকলেই এই মামলায় অভিযুক্ত। ইতিমধ্যেই এই মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। আগামী দিনে আরও একাধিক হেভিওয়েটের দিকে নজর রয়েছে কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলির।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন