যৌথ পরিবারের গুরুত্ব বুঝিয়েছিলেন তিনি। মধ্যবিত্ত বাঙালির জীবনের গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তগুলিকে সিনেমার পর্দায় তুলে ধরেছিলেন 'বালিকা বধূ', 'রাহগির', 'নিমন্ত্রণ', 'কুহেলি', 'আলো', 'চাঁদের বাড়ি'র মতো সিনেমা। চলমান চিত্রের এই চিরকালীন সম্পদ রেখে চলে গেলেন কিংবদন্তি পরিচালক তরুণ মজুমদার। সোমবার এসএসকেএম হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৯১। যে সময় সত্যজিৎ রায়, মৃণাল সেনের মতো পরিচালকরা সিনেমার জগতে দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন, সেই সময়ে বড়পর্দায় পারিবারিক কাহিনি ফুটিয়ে তুলতে শুরু করেন তরুণ মজুমদার। একাধিক জাতীয় পুরস্কার রয়েছে তরুণ মজুমদারে ঝুলিতে। পদ্মশ্রী সম্মানে ভূষিত হয়েছেন। জানা গিয়েছে, গত ২২ বছর ধরে কিডনির সমস্যায় ভুগছিলেন তরুণ মজুমদার।
তরুণ মজুমদারের স্বাস্থ্যের বিষয়ে আলোচনা করার জন্য সোমবার সকাল এগারোটা নাগাদ মেডিক্যাল বোর্ডের মিটিং হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু পরিস্থিতির গুরুত্ব বুঝে সাড়ে ন-টা নাগাদই বৈঠক করা হয়। তারপরই তরুণ মজুমদারের পরিবারকে খবর দেওয়া হয়। তরুণ মজুমদারের প্রয়াণে একটা যুগের অবসান হল।
পরিচালককে নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী আরও লিখেছেন, "ভিন্নধারার রুচিসম্মত সামাজিক চলচ্চিত্র নির্মাণে তরুণ মজুমদার উজ্জ্বল নিদর্শন রেখে গিয়েছেন। তাঁর ছবিতে রবীন্দ্রসঙ্গীতের প্রয়োগ দর্শককে আবিষ্ট করে রাখে।" একই সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন, "তাঁর প্রয়াণ চলচ্চিত্র জগতে এক অপূরণীয় ক্ষতি। আমি তরুণ মজুমদারের পরিবার-পরিজন ও অনুরাগীদের আন্তরিক সমবেদনা জানাচ্ছি।"
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন