জোকায় পার্থকে জুতো; নিন্দায় সরব তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল

 

হামলার মুখে পার্থ চট্টোপাধ্যায়। ইএসআই হাসপাতালে স্বাস্থ্যপরীক্ষা করে বেরনোর সময় তাঁকে লক্ষ্য করে চটি ছুঁড়ে মারলেন এক মহিলা। ওই মহিলার নাম শুভ্রা ঘোড়ুই।যদিও পার্থবাবুর গায়ে তা লাগেনি বলেই খবর পাওয়া গিয়েছে। এমন হাই প্রোফাইল মামলায় আচমকা এমন ঘটনা ঘিরে শোরগোল হাসপাতাল চত্বরে। অতি দ্রুত প্রাক্তন মন্ত্রীকে সেখান থেকে সরিয়ে গাড়িতে তুলে দেন নিরাপত্তারক্ষীরা। মহিলার সাফ বক্তব্য, "রাগ ছিল, জুতো মেরে শান্তি পেয়েছি।" এসএসসি দুর্নীতি মামলায় ইডির আদালতের নির্দেশে পার্থ চট্টোপাধ্যায়, অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে ৪৮ ঘণ্টা পরপর স্বাস্থ্যপরীক্ষা করানো হচ্ছে। মঙ্গলবার ছিল সেই দিন। দু-জনকেই নিয়ে যাওয়া হয়েছিল জোকার ইএসআই হাসপাতালে।

সেখান থেকে বেরনোর পথেই 'জুতো' হামলার মুখে পড়লেন পার্থবাবু। তাঁর দিকে তাক করে এক মহিলা জুতো ছোঁড়েন। 

মহিলার নাম শুভ্রা ঘড়ুই। বাড়ি আমতলা। এদিন স্বাস্থ্য পরীক্ষা করিয়ে বের করা হচ্ছিল পার্থকে। মেডিক্যাল পরীক্ষা করাতে জোকায় নিয়ে আসা হয়েছিল তাঁকে। সেখানেই স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাতে এসেছিলেন ওই মহিলাও। পার্থকে দেখা মাত্রই তিনি নিজের পা থেকে দু-পাটি চটি খুলে ছুড়ে মারেন পার্থকে লক্ষ্য করে। পার্থ অবশ্য তখন গাড়িতে। পরে ওই মহিলা বলেন, "ওঁদের কোটি কোটি টাকা। কলকাতার একাধিক জায়গায় ফ্ল্যাট কিনেছেন। এসি গাড়ি করে হাসপাতালে আসছেন। এতে আমাদের সমস্যা হচ্ছে।  আমরা ঠিক মতো ডাক্তার দেখাতে পারছি না। তাই জন্যই জুতো ছুড়েছি। জুতোটা ওঁর টাকে লাগলে শান্তি পেতাম।" 

এই প্রসঙ্গে কুণাল ঘোষ বলেন, 'পার্থ চট্টোপাধ্যায় যদি অপরাধ করে থাকেন, প্রাথমিকভাবে যা তথ্য তাতে মুখ্যমন্ত্রী যা ব্যবস্থা নেওয়ার নিয়েছেন। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় মানুষের কাছে দলের অবস্থান ব্যাখ্যা করে দিয়েছেন। দল কড়া ব্যবস্থা নিয়েছে। যে ব্যবস্থা অতীতে সিপিএম, কংগ্রেস, বিজেপি কেউ নেয়নি। এখন তাঁর অধিকার আছে, তিনি আইনের পথে লড়বেন। তিনি অপরাধ করেছেন যদি প্রমাণিত হয়, তাহলে যা যা শাস্তি আছে, পাবেন। আইন আইনের পথে চলবে। তিনি যদি কোনওভাবে দোষী প্রমাণিত হন। সত্যিই যদি তিনি দোষ করে থাকেন, তাঁর শাস্তি হবে। কিন্তু আইনের বাইরে কোনওরকম শাস্তি বা কোনও ধরনের কোনও দৃশ্যের অবতারণার যদি চেষ্টা হয়, তবে সেটা সুস্থ সমাজে কতটা গ্রহণযোগ্য, নিশ্চয়ই সবাই ভেবে দেখবেন। পার্থদা যদি খুব খারাপ কাজে যুক্ত হন, তার ব্যবস্থা তার মত হবে। সরকার ব্যবস্থা নিয়েছে। দল নিয়েছে। আইন নেবে। কিন্তু এটা কোনও মধ্যযুগের শাসন বা মধ্যযুগীয় সমাজ নয়। কারোও মনে হল, কারোও ক্ষোভ হল, আর একটা কোনও ঘটনা ঘটিয়ে দিল, সেটা কোনওমতেই শোভনীয় নয়। সেটা সমর্থন করা যায় না।'