গরু পাচার মামলার তদন্তে অনেকদিন ধরেই সিবিআই-এর নজরে রয়েছে বীরভূমের ভোলে ব্যোম রাইস মিল। যদিও অনুব্রত মণ্ডলের ওই রাইস মিলে আগেই তল্লাশি চালিয়েছিলেন তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। এবার সুকন্যার কাছে ওই রাইস মিল সংক্রান্ত নথি চাইল সিবিআই। শুক্রবারই বোলপুরে গিয়েছে সিবিআই-এর একটি টিম। অনুব্রতর বাড়িতে গিয়ে সুকন্যাকে জিজ্ঞাসাবাদও করেছেন তদন্তকারীরা। এবার নথি চাওয়া হল সুকন্যার কাছে।সিবিআই সূত্রে খবর, শুক্রবার জিজ্ঞাসাবাদের পর কেষ্ট-কন্যার কাছে ভোলে ব্যোম রাইসমিলের সমস্ত নথি চাওয়া হয়েছে। সমস্ত নথি খতিয়ে দেখার পর আবারও তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে।
সূত্রের খবর, শুক্রবার সিবিআই-এর তরফে সুকন্যাকে যে সব প্রশ্ন করা হয়েছিল, তার বেশিরভাগেরই উত্তরে ‘হ্যাঁ’ বা ‘না’ বলেছেন সুকন্যা মণ্ডল। এর পাশাপাশি সম্পত্তির হিসেব সম্পর্কিত প্রশ্ন করলে সুকন্যা সিবিআই আধিকারিকদের জানান, সবকিছু জানেন মনীশ কোঠারি (অনুব্রতর হিসাব রক্ষক)। মূলত কেষ্ট-কন্যার সম্পত্তিই আতস কাচের নীচে রেখেছে সিবিআই।
এর আগেও সুকন্যাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চেয়েছিলেন তদন্তকারীরা। তাঁর বাড়িতেও গিয়েছিলেন তাঁরা। কিন্তু সেই সময় মানসিক অবস্থার কথা সিবিআই-এর মুখোমুখি হতে চাননি সুকন্যা। এর পাশাপাশি বোলপুরের সিয়ান এলাকায় অনুব্রত মণ্ডলের যে বাগানবাড়ি রয়েছে, তাতেও নজর রয়েছে সিবিআই-এর। সাত মাস আগে অনুব্রত ১ বিঘা ৬ কাঠা জমি কিনেছিলেন। যাঁরা এই জমি বিক্রি করেছিলেন সেরকম ২ জনকেও শুক্রবার ডেকে পাঠিয়েছিল সিবিআই আধিকারিকরা। শেখ নৌসার ও শেখ হাবিবুর নামে দুই ব্যক্তিকে তলব করা হয়েছিল। জমি কেনার সময় অনুব্রতর সঙ্গে তাঁদের ঠিক কী ধরনের কথোপকথন হয়েছিল তা জানতে চেয়েছিলেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। তবে এবার রাইস মিলের নথি পেলে তদন্তে সুবিধা হবে বলে মনে করছেন তাঁরা।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন